অপপ্রচারের শিকার শিক্ষক, বিচার দাবি | মাদরাসা নিউজ

অপপ্রচারের শিকার শিক্ষক, বিচার দাবি

প্রথমে অভিনব প্রতারণা, তারপর সেই প্রতারণাকেই কেন্দ্র করে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন এক মাদরাসা শিক্ষক। অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। একই সাথে প্রতারকদের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।

প্রথমে অভিনব প্রতারণা,  তারপর সেই প্রতারণাকেই কেন্দ্র করে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন এক মাদরাসা শিক্ষক। অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। একই সাথে প্রতারকদের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।

বুধবার (২৫ জুন) কুরুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। 

অপপ্রচারের শিকার শিক্ষক, বিচার দাবি
প্রতারকদের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। ছবি : শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুরুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরসার সহকারী শিক্ষক মো. শহিদুর রহমান ওরফে আবু সামা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি একই উপজেলার কাউনেরচর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানু এবং তার অপর সহযোগী হাবিবুল্লাহর প্রতারণা শিকার হয়েছেন। প্রথমে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষক আবু সামার প্রতিষ্ঠিত এতিম খানার জন্য মোটা অংকের অনুদান পাইয়ে দেয়ার প্রলোভনে ফেলে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। পরে সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আরো টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারায়  তিনি (শিক্ষক আবু সামা) খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন বলে চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে অপপ্রচার চালায় ছানোয়ার। তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শিক্ষক।

প্রতারণার শিকার শিক্ষক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ছানোয়ার হোসেন ছানুর সাথে দুই বছর আগে তার পরিচয়। সে সুবাদে শিক্ষক আবু সামাকে ওই প্রতারক বলেন সে ঢাকায় একটি মাদরাসায় চাকরি করেন। এসময় শিক্ষক আবু সামার প্রতিষ্ঠিত এতিম খানার জন্য মোটা অংকের অনুদান পাইয়ে দেয়ার প্রলোভনে ফেলে কথিত প্রতারক মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর থেকে সে গা ঢাকা দেয়। পরে হঠাৎ করেই আমি খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছি বলে ফেসবুক অপপ্রচার চালায় ছানোয়ার ।

পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, মো. শহিদুর রহমান ওরফে আবু সামা প্রতারক মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু ও তার  সহযোগী ঢনঢনিয়া গ্রামের মৃত জহুরুল হকের ছেলে মো. হাবিবুল্লাসহ আরো ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি তার বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচারকারী প্রতারক ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে কুরুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মঞ্জু মিয়া, কুরুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ সুলায়মান হোসেন, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিনসহ মাদরাসার শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।