অবশেষে নামল বিমানের ‘গলার কাঁটা’ - দৈনিকশিক্ষা

অবশেষে নামল বিমানের ‘গলার কাঁটা’

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মিসর থেকে ভাড়ায় আনা ত্রুটিপূর্ণ এয়ারক্রাফট দুটি অবশেষে বিদায় নিয়েছে। প্রথম উড়োজাহাজটি গত ১৬ জুলাই মিসরে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি আজ বিদায় নিচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অপারেশন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিমানের ‘গলার কাঁটা’ নামে পরিচিত এ দুটি এয়ারক্রাফট নেয়ার সময় অসম চুক্তি করায় ফেরত দিতে বিশাল অঙ্কের অর্থ গুনতে হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হকের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ও বর্তমান বিমান এমডি মোকাব্বির হোসেনের চেষ্টায় উড়োজাহাজ দুটি ফেরত দেয়া সম্ভব হয়েছে।


 
জানা গেছে, বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ দুটি লিজ চুক্তিতে আনা হয়েছিল মিথ্যা তথ্য দিয়ে। যে কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি। মাসে ১১ কোটি টাকা হারে পাঁচ বছরে ৬৫০ কোটি টাকার ওপর মাশুল গুনতে হয়েছে। দুটি উড়োজাহাজ লিজের নামে হাতি পুষেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ কারণে বছরে বিমানকে গচ্চা দিতে হয়েছে প্রায় ১৩২ কোটি টাকা।

বিমানের পরিকল্পনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজটি দীর্ঘদিন পড়েছিল। আজ সকালে উড়োজাহাজটি নিয়ে বিমানের পাইলটরা মিসরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এয়ারক্রাফট দুটি মেনটেনেন্স করতে এ যাবত কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে বিমানকে।

জানা গেছে, অসম চুক্তিতে বলা আছে, ভাড়া নেয়ার সময় উড়োজাহাজ দুটি যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, ফেরত দেয়ার সময় সে অবস্থা করে দিতে হবে। বিমানের পক্ষে যা ছিল অসম্ভব। ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই অচল হয়ে পড়া এয়ারক্রাফট দুটি নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে বিমান। বিমানকে লোকসানের বোঝা টানতে হয় বিগত কয়েক বছর।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর লিজ নেয় বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ওই বছরের মার্চে ও অন্যটি একই বছরের মে মাসে। লিজে আনা বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ দুটির কারণে বিমানের শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037271976470947