কাম্য প্রশিক্ষণ সনদ ছাড়াই নরসিংদীর পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজে কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর পদে নিয়োগ পেয়েছেন মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া। নিয়োগকালীন সময়ে প্রশিক্ষণ সনদ না থাকায় এবং যথাযথভাবে এমপিও অনুমোদন না হওয়ায় এমপিও বাতিল হয়েছে তার। নিয়োগ কমিটির প্রতিনিধিদের দায়িত্বে অবহেলায় প্রশিক্ষণ সনদ ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন এ শিক্ষক। এমন তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। তাই নিয়োগ কমিটির দুই প্রতিনিধির কাছে এ শিক্ষকের অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
নিয়োগ কমিটির এ দুই প্রতিনিধি হলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং নরসিংদী পলিটেকনিক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুশীল কুমার পাল এবং গাজীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও নরসিংদী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আখেরুজ্জামান।
জানা গেছে, নরসিংদীর পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজে কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর পদে নিয়োগ পান মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া। তবে নিয়োগকালীন সময়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ ছিলো না তার। তাই এমপিও বাতিল হয়েছে এ শিক্ষকের।
ডেমোনেস্ট্রেটর পদে মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়ার নিয়োগের সময় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন নরসিংদী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আখেরুজ্জামান। অপরদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন নরসিংদী পলিটেকনিক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুশীল কুমার পাল। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত। এ দুই কর্মকর্তা নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থেকে কাম্য প্রশিক্ষণ সনদ ছাড়াই মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়াকে নরসিংদীর পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজে কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং নরসিংদী পলিটেকনিক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুশীল কুমার পাল এবং গাজীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও নরসিংদী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আখেরুজ্জামানের ব্যাখ্যা তলব করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। এ দুই কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে ভোকেশনাল শাখার পরিচালকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর পদে মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়ার নিয়োগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।