প্রায় সোয়া ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে মির্জা অনিক ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে দুদক সচিব মু. আনোয়র হোসেন হাওলাদার জানান, মির্জা নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে মির্জা অনিক ইসলাম তাদের অর্জিত অবৈধ আয়কে বৈধ করার উদ্দেশ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থের অবস্থান গোপন করায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে তাদের বিরুদ্ধ মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে মির্জা অনিক ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে অনুসন্ধান শুরু করে কমিশন। অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দুদকের উপ-পরিচালক মোনায়েম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর কমিশন থেকে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হলে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আসামিরা সম্পদ বিবরণী জমার নোটিশ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তারা সমন্বিতভাবে মার্চে দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন।
বিবরণীতে তারা ২ কোটি ৬৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৮২ টাকার সম্পদের তথ্য দুদককে জানান। তবে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকে সাতটি হিসাবে সন্দেহজনক উত্স থেকে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৬৪ হাজার ১৬২ টাকা জমা করেন পিতা নজরুল ইসলাম। ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত ঐ টাকা জমা হলেও অজ্ঞাত কারণে ৭ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা উত্তোলন করে তা আবার গোপন করেন। কিন্তু গোপনকৃত ঐ টাকার বিষয়ে পিতা ও পুত্র কোনো হিসাব দিতে পারেননি।