বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল পাওয়ার খবরে অভিনন্দন জানিয়েছে দেশবাসী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও মানবাধিকার সংস্থা। তবে অভিজিতের নোবেলপ্রাপ্তিকে সাদরে গ্রহণ করেনি বিজেপি।
দলটির ভাষ্য, অভিজিতের তত্ত্ব ভারতে চলে না। ভারতের জন্য মহাত্মা গান্ধীর নীতিই অর্থনৈতিক উন্নয়নের সোপান। অভিজিৎকে বামপন্থি অর্থনীতিবিদ বলেও মন্তব্য করেছে বিজেপি।
অভিজিৎ কলকাতার ছেলে। পড়াশোনা কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল আর প্রেসিডেন্সি কলেজে। এরপর দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিজিতের সঙ্গে এবার অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তার স্ত্রী এস্থার ডাফলো।
গতকাল শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, নোবেল পাওয়ার জন্য আমরা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাই। আপনারা সবাই জানেন উনি বামপন্থি মানসিকতার। কংগ্রেসের ঘোষিত ন্যায় প্রকল্পকে উনি সমর্থন দিয়েছিলেন। ন্যায় প্রকল্পের গুণগান গেয়েছেন। ভারতের মানুষ ওনার অর্থনৈতিক তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়েছে।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা একধাপ এগিয়ে বলেন, ‘বামপন্থি অর্থনীতি এ দেশে চলে না। মানুষ বামপন্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশের কোথাও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্ব কাজে লাগতে পারে। তবে ভারতে দারিদ্র্য দূরীকরণে তার তত্ত্ব কাজে আসবে না। মহাত্মা গান্ধীর নীতিতেই ভারতে আর্থিক উন্নতি সম্ভব।
রাহুল সিনহা বলেন, অভিজিৎ তো দিল্লিতে পড়াশোনার সময় ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১০ দিন জেল খেটেছিলেন দিল্লির তিহার কারাগারে।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, বিদেশিনীকে বিয়ে করলে নোবেল পাওয়া যায়, যেমনটা অধ্যাপক অমর্ত্য সেনও বিদেশিনী বিয়ে করে নোবেল পেয়েছিলেন। অভিজিৎ দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ফ্রান্সের এস্থার ডাফলোকে। অমর্ত্য সেনও দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন বিদেশিনীকে।