পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকা দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড় ছেড়েছে। স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এবার ভাষা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হলেও মোর্চা এখন পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি নতুন করে তুলেছে।
গতকাল সকাল থেকেই দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন স্কুলের কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাসে করে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিতে থাকে সমতলের শিলিগুড়ি শহরে। ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশেরও ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে আরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, আজ শুক্রবারের মধ্যে জিটিএ বা গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে থাকা মোর্চার ৪৩ সদস্যকে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁদের আজই জিটিএর সদর দপ্তরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিতে বলা হয়। গতকাল বিকেলের খবর, ৪৩ জন সদস্যই পদত্যাগ করেছেন। কেবল জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং রোববার পদত্যাগ করবেন।
২০১১ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং সমস্যা সমাধানে এক চুক্তি করেন। সেই চুক্তির বলে পাহাড়ি এ অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসনের জন্য গঠিত হয়েছিল জিটিএ। পরে জিটিএর নির্বাচনে জয়ী হয়ে এর চেয়ারম্যান হন বিমল গুরুং।
বিমল গুরুং গতকাল গোপন অবস্থান থেকে এক বার্তায় জানিয়েছেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেছেন, আমাদের একটাই দাবি, গোর্খাল্যান্ড। আমাদের আন্দোলন চলবে। পারলে আমাকে ধরুন।’