অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিতের ফল অক্টোবরের প্রথমার্ধে | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিতের ফল অক্টোবরের প্রথমার্ধে

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল আসছে অক্টোবরের প্রথমার্ধে প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে প্রধান পরীক্ষকরা মূল্যায়ন শেষ করে খাতা জমা দেয়া শুরু করেছেন। বর্তমানে সেগুলোর স্ক্যানিং চলছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল আসছে অক্টোবরের প্রথমার্ধে প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে প্রধান পরীক্ষকরা মূল্যায়ন শেষ করে খাতা জমা দেয়া শুরু করেছেন। বর্তমানে সেগুলোর স্ক্যানিং চলছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।

দৈনিক আমাদের বার্তাকে সচিব বলেন, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রস্তুতের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করার। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের প্রথমদিকে ফল প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি।  

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিতের ফল অক্টোবরের প্রথমার্ধে

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিতের ফল অক্টোবরের প্রথমার্ধে

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শিক্ষক নিবন্ধনের প্রতিটি খাতা দুই জন পরীক্ষক পরীক্ষা করেন। প্রথম পরীক্ষককে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। দ্বিতীয় পরীক্ষকও একই সময় পান। প্রথম পরীক্ষকের কাছ থেকে খাতা সংগ্রহের পর দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে ৭ থেকে ১০ দিন লাগে। এবার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রত্যেকে ১৫০ থেকে ৩০০টি করে খাতা দেয়া হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষার ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হয়। অনিবার্য পরিস্থিতিতে এ সময় আরো ১৫ দিন বাড়ানোর সুযোগ আছে। সর্বোপরি ৬০ দিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গত ১২ ও ১৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সরকার পতনের আন্দোলনের প্রভাবে খাতা মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় দেরি হয়।

এর আগে গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তাতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে মোট পাস করেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী।

গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারিতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

এর আগে, ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জুলাই দেশের আট জেলায় সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৩ জুলাই কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হয়।

এনটিআরসিএ ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারিতে ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।