আইন করার আগেই হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ - দৈনিকশিক্ষা

আইন করার আগেই হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ

খোকন বড়ুয়া |

আইন করার আগেই সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। প্রায় আট বছর আগে আইন করার উদ্যোগ নিলেও তা সম্পন্ন করতে পারেনি আইন মন্ত্রণালয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে গেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। 

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচারক নিয়োগে আইন প্রণয়নের কাজ চলছে, একটু অপেক্ষা করেন। কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। কিন্তু আইন প্রণয়ন না করেই সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অবশ্য এ ধারা বছরের পর বছর চলে আসছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্ট বিভাগে শিগগির ৯ থেকে ১৫ বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। একবারে না হলেও দুই দফায় এ নিয়োগ হতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এই তিন ক্যাটাগরি থেকে নিয়োগের তালিকায় রাখা হয়েছে। যাদের নিয়োগ দেয়া হবে তাদের নিয়ে শেষ মুহূর্তেও বিচার বিশ্লেষণ চলছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সততা, পেশাগত দক্ষতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি অনুগত কিনা এসব ছাড়াও তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।  

আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে এখনও কোন আইন বা নীতিমালা নেই। এখনও পর্যন্ত সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্রপতি উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ দিচ্ছেন। নিয়োগের এ বিধান থাকলেও ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এক রায়ে বিচারপতি নিয়োগে প্রথমবারের মতো একটি গাইড লাইন দেন। নিয়োগ প্রশ্নে এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেবেন এবং তারা পরস্পর চিঠিপত্রের মাধ্যমে বা টেবিলে বসে পরামর্শ করতে পারেন। কিন্তু এই শলাপরামর্শের প্রতিক্রিয়াকে অধিকতর স্বচ্ছ করতে তাদের মধ্যকার আলাপ আলোচানার রেকর্ড রাখতে হবে। যাতে বিরোধ বা মতানৈক্য দেখা দিলে তা নিরসন করা যায়। কিন্তু এই গাইডলাইনের পরও হাইকোর্টে কয়েক দফা বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। এতে গাইডলাইন অনুসরণ না করার অভিযোগ রয়েছে। বরং সংবিধানে উল্লেখিত অনুচ্ছেদ অনুসারেই বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ।  

এদিকে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের ধারা ১ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন। অনুচ্ছেদটির ২ নম্বর ধারায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হইলে, এবং সুপ্রিম কোর্টে অন্যূন ১০ বৎসরকাল অ্যাডভোকেট না থাকিয়া থাকিলে অথবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন ১০ বৎসর কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করিয়া থাকিলে অথবা সুপ্রিমকোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকিয়া থাকিলে তিনি বিচারকপদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।

সুপ্রিমকোর্টে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা বাস্তবতার নিরিখে অপরিহার্য। এতে বিচারপতি নিয়োগের কাজ আরও স্বচ্ছ ও দ্রুততর হবে। জনগণের মধ্যে বিচারপতি নিয়োগের স্বচ্ছতা সম্পর্কে ভিত্তিহীন ধারণা দূরীভূত হবে।

তিনি বলেন, মামলার সংখ্যা বিবেচনায় আমাদের বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। মামলাজট নিরসনে দেশের অধস্তন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারকের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন। 

এর আগে ২২ ডিসেম্বর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আইন প্রণয়ন শিগগিরই হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003303050994873