আইসিটি মামলায় সংগীতশিল্পী আসিফের বিচার শুরু | বিনোদন নিউজ

আইসিটি মামলায় সংগীতশিল্পী আসিফের বিচার শুরু

সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। আগামী ২৩ জুন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই

সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। আগামী ২৩ জুন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।

আইসিটি মামলায় সংগীতশিল্পী আসিফের বিচার শুরু

অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত সংগীতশিল্পী আসিফ নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

আসিফের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাকির হোসেন খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে ২০১৮ সালের ৪ জুন আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন। পরদিন গ্রেপ্তার করে আসিফ আকবরকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান তিনি। 

আইসিটি আইনে করা ওই মামলা তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় আসিফের বিরুদ্ধে শিল্পী শফিক তুহিনের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন আসিফ।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা আরও একটি মামলা বিচারাধীন। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সিআইডি।

আসিফকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রশান্ত শিকদার তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আইসিটি আইনে মামলা হওয়ায় পর আসিফ আকবরকে মগবাজারের অফিস থেকে গ্রেপ্তার করার সময় তাঁর কাছ থেকে চার বোতল মদ পাওয়া যায়। তিনি ওই মদের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করা হয়।