হবিগঞ্জের সদর উপজেলার তেগুরিয়া ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ আলীকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ ঘটনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার(১৯ এপ্রিল) এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন। আদেশের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান আইনজীবী গোরাঙ্গ চন্দ্র কর।
আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, একটি মারামারিকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ রামপুরা গ্রামের সমাজপতিরা শালিসে বসেন। শালিস শেষে মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ আলীকে(৭৪) সমাজচ্যুত করা হয়। পাশাপাশি বলা হয়, যারা সুরুজ আলীকে সহযোগিতা করবে তাদের জরিমানা করা হবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সুরুজ আলীকে খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানী গ্যাস, সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করতে নিষেধাজ্ঞা দেয় সমাজপতি আব্দুর রবসহ কয়েকজন।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রসাশকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেন সুরুজ আলী। আবেদনে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে গত ১১ এপ্রিল রিট করেন। রিটে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, হবিগঞ্জ জেলা প্রসাশক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), সমাজপতি আব্দুর রব, শিবলু মিয়া, সুমন মিয়া, মোহন মিয়া, উত্ত কুমার রায়, অনুমিয়াসহ ১৩জনকে।
শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেন। আদেশটি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, হবিগঞ্জ জেলা প্রসাশক (ডিসি), পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। একই সাথে ডিসির কাছে দেয়া আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।