আদালতেই গুলি চালিয়ে বিচারকের আত্মহত্যা চেষ্টা - দৈনিকশিক্ষা

আদালতেই গুলি চালিয়ে বিচারকের আত্মহত্যা চেষ্টা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারার দায়বোধ থেকে আদালত কক্ষে নিজের বুকে গুলি চালিয়েছেন থাইল্যান্ডের এক বিচারক। জানা গেছে, তার দেয়া এক রায়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে একটি শুনানি শেষে নিজের পিস্তল বের করে বুকে গুলি চালান জ্যেষ্ঠ বিচারক খানাকর্ন পিয়ানছানা। আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনার পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। থাই সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, অপারেশনের পর বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।

নিজের বুকে গুলি চালানোর আগে বিচারক খানাকর্নের লেখা এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিবৃতি থেকে জানা গেছে, তিনি যে মামলার শুনানি করছিলেন তা জাতীয় নিরাপত্তা এবং গোপন সংগঠন, ষড়যন্ত্র ও অস্ত্র বিষয়ক। থানাকর্নের দাবি, মামলায় রায় নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারকদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়।

প্রমাণের অভাবে পাঁচ অভিযুক্তকে খালাস দিতে চেয়েছিলেন খানাকর্ন। তবে জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা তাকে তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি দুই জনকে কারাদণ্ড দিতে চাপ দেয় বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে অন্যান্য অধস্তন বিচারকদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হচ্ছে যেমনটি আমার সঙ্গে হয়েছে। আমি (যদি) আমার শপথ না রাখতে পারি, তাহলে সম্মান ছাড়া বাঁচার চেয়ে আমি মরে যাবো’।

শুক্রবার রাতের পর ফেসবুকে আর ওই বিবৃতিটি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট। তবে বিবৃতিটি সামনে আসার পর থাইল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা রাজনৈতিক উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রায় পাল্টে দিচ্ছে।

থাই বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র ব্যাংকক পোস্টের কাছে দাবি করেছেন, খানাকর্ন দৃশ্যত নিজেকে গুলি করেছেন কারণ তার ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল আর তিনি চাপে ছিলেন। তবে দেশটির রাজনৈতিক দল ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টির সাধারণ সম্পাদক পিয়াবুতর সায়েংকানোক্কুল বলেছেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই আদালত ব্যবস্থার সংকটকে প্রকাশ্যে আনার চেষ্টায় ছিলেন খানাকর্ন।

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034420490264893