শারীরিক উপস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম খোলা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির কাছে এ সুপারিশটি করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাকে জানান ঢাকা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারী খন্দকার মো. হজরত আলী। তিনি বলেন, এ কঠোর নিষেধাজ্ঞায় আদালতের কার্যাক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকলে আইনজীবী মক্কেলদের সমস্যা আরও বাড়বে, কমবে না। আমাদের অনেক জুনিয়র আইনজীবী আছেন তাদের জন্য এ সিদ্ধান্ত কঠিন বাস্তবতা বয়ে আনবে। তাই দেশের সব আদালত খোলার জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছি প্রধান বিচারপতি বরাবর। মাননীয় প্রধান বিচারপতি আমাদের আবেদন দেখে হয়তো বিবেচনা করবেন, এমন আশা করছি।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল (রোববার) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. হজরত আলী স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশ পাঠানো হয়।
সেই সুপারিশে বলা হয়, কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের স্বার্থে কিছু নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।
সুপারিশ গুলো হলো-
কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন আসামিদের হাজিরা ও সময়ের আবেদন আইনজীবীদের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে।
দেওয়ানি মামলার বাদি ও বিবাদি পক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করা যেতে পারে।
হাজতি আসামিদের হাজিরা জেলখানা রেখে শুধু আসামিদের কাস্টাডি পেপার স্বাক্ষর করে আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে।
সিআর মামলা ফাইলিংয়ের বিষয়ে বাদি ও তার নিযুক্ত আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন।
আদালতের এজলাস কক্ষে একই সময়ে সীমিত সংখ্যক আইনজীবী মামলা পরিচালনা বা শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এজলাসের ডায়াসে এক থেকে দুই জন আইনজীবী অংশগ্রহণ করতে পারেন। অল্পসংখ্যক আসামি উপস্থিত থাকতে পারে।
আদালতে প্রবেশ করার আগে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। এজলাস কক্ষে বিচারপ্রার্থীদের বিনা প্রয়োজনে প্রবেশ সীমিত করা যেতে পারে। অস্থায়ী জামিন অটো এক্সটেনশন করা যেতে পারে।
আপিল, রিভিশন ও মিস কেস ফাইলিং তামাদি থাকলেও ফাইলিং ও শুনানি হতে পারে।