বহুবিধ আগ্রাসনে, সারা বিশ্বে অস্তিত্বের সংকটে আদিবাসীরা। তাই তাদের ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় ২০১৯ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু, ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সালাম, বরকত, রফিক, সফিকের দেশে নিজেদের ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে কেমন আছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা?
মূলধারার সঙ্গে মিশে যেতে যেতে নিজের ভাষা-সংস্কৃতিকে পরিবারের ছোট্ট পরিমণ্ডলে হলেও পুষে রাখার সুপ্ত বাসনা সাঁওতাল পল্লীর কিশোরী কাজুরী হামব্রমের। প্রধান প্রধান নৃগোষ্ঠীর ভাষার পাঠ্যবই প্রণয়ন করে দেয়া হয়েছে তাদের শিক্ষার্থীদের হাতে। কিন্তু সেসব ভাষার পাঠ দানে নিযুক্ত হয়নি কোন শিক্ষক।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, পাঁচ দশক আগেও ৩৭টি ক্ষুদ্র-জাতিগোষ্ঠীর ৬০ হাজারের বেশি পরিবারের বসবাস ছিলো বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে। নানা সংকটে, আগ্রাসনে ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়। এখন এ অঞ্চলে সংখ্যা নেমে এসেছে কুড়ি হাজারের নিচে। বিলুপ্ত হয়েছে ৮টি ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠী।
বেরোবির অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তাদের যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তা অপর্যাপ্ত। তাদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক নেই। বাঙালির একুশে এখন বিশ্বজনীন। তাই সকল বিপন্ন মাতৃভাষা রক্ষার দায় অনেকটা বাঙালিরও এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।