২৯তম আন্তর্জাতিক জীব বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের চার মেধাবী শিক্ষার্থী। আজ ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ইরানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জীব বিজ্ঞানের সর্ববৃহত্ এই আসর। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় ইরানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ জীব বিজ্ঞান অলিম্পিয়ার্ডের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা: গাজী মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন ইন্টারন্যাশনাল টার্কিশ হোপ স্কুলের ছাত্র মো. বায়েজিদ মিয়া, ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের ছাত্রী প্রকৃতি প্রযুক্তি, এসএফএক্স গ্রিনহেরাল্ড স্কুলের ছাত্র অদ্বিতীয় নাগ ও খুলনার এমএম সিটি কলেজের ছাত্র মো. তামজিদ হোসেন তানিম।
গতকাল শনিবার (১৪ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জীব বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সারা দেশের ১৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে আঞ্চলিক, জাতীয় ও প্রাক-নির্বাচনী এই তিনটি ধাপে মোট ১৮ জনকে বাছাই করা হয়। তাদের নিয়ে সাভারের জাতীয় জীব বিজ্ঞান প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বায়ো ক্যাম্প। ক্যাম্পের মূল্যায়ন পরীক্ষায় আটজন শিক্ষার্থী মাস্টার ক্যাম্পার পুরস্কার অর্জন করে। সেই আটজনের মধ্য থেকে তিন দিনের বর্ধিত অনাবাসিক ক্যাম্পের মূল্যায়নে চূড়ান্তভাবে ৪ জনকে বাছাই করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে জীব বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডেও পৃষ্টপোষকতা করে সরকার। সরকার যদি আর্থিক সহযোগিতা করে, তাহলে জীব বিজ্ঞান গবেষণায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এছাড়া ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অর্থ যদি এই খাতে ব্যয় করে, তাহলে এদেশের তরুণ প্রজন্ম জীব বিজ্ঞানে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মান বয়ে আনবে। অনুভূতি প্রকাশ করে ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের ছাত্রী প্রকৃতি প্রযুক্তি দেশের জন্য যাতে সম্মান বয়ে আনতে পারেন, সকলের কাছে সেই দোয়া কামনা করেন।