বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কটূক্তি করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের বের করতে দেবেন না, অথচ দেখেন তারা রাস্তায় রাস্তায়, ঝোপে-ঝাড়ে অশালীন কাজ করে বেড়াচ্ছে; সারারাত থাকছে। তাদের ইনভাইটেড গেস্ট (আমন্ত্রিত অতিথি), অছাত্ররাও এসে রাত কাটাচ্ছে। হোয়াট ইস দিস?’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রন নেই, কন্ট্রোল ওরা নিয়ে নিয়েছে। আমাদের দুইজন কর্মকর্তাকে ঢুকতে দেয়নি রাজাকার রাজাকার বলে গালাগাল করেছে। অথচ তারা বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।,” তিনি বলেন।
তিনি মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
আন্দোলনের জন্য সাংবাদিকদের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বলে দিচ্ছেন- এভাবে দাঁড়াও, ওভাবে নাচ। সংবাদ কাভার (প্রচার) বন্ধ রাখেন, দুই ঘণ্টায় সমাধান হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিসি (ভাইস চ্যান্সেলর/উপাচার্য) অপসারণের জন্য আপনারা দাবি করতে পারেন, মানববন্ধন করতে পারেন। কিন্তু আড়াই কোটি টাকার ভুল তথ্য পেপারে দিয়ে ভিসি তাড়াতে হবে এটা তো ঠিক না।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের ভাইদের বললাম, আপনারা আমার সাথে বসেন। সমাধান ৫ মিনিটে। আপনারা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কিন্তু আপনারা আমাদের কথাগুলো লিখছেন না।’
‘আসলে টিভিতে দেখানোর লোভ সামলাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। সোস্যাল মিডিয়ায় তাদেরকে দেখাচ্ছে এতে তারা ভাবছে তারা নেতা হয়ে গেছে,’ তিনি বলেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করা হলে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
