আমি তো অন্যায় করিনি কেন পদত্যাগ করবো : বুয়েট ভিসি | বিবিধ নিউজ

আমি তো অন্যায় করিনি কেন পদত্যাগ করবো : বুয়েট ভিসি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার পদত্যাগের কোনও কারণ নেই। আমি তো কোনও অন্যায় করিনি, পদত্যাগ করবো কেন?’ বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার পদত্যাগের কোনও কারণ নেই। আমি তো কোনও অন্যায় করিনি, পদত্যাগ করবো কেন?’

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

আমি তো অন্যায় করিনি কেন পদত্যাগ করবো : বুয়েট ভিসি

উপাচার্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে হল প্রভোস্টরা যখন খবর পান (আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার খবর), সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান। ভোররাত ৪টা থেকে আমিও সেখানে ছিলাম।’

আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনা ইতোমধ্যে তদন্ত করেছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইনকোয়ারি করে শাস্তিও দিয়েছি।’

বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে ভিসি বলেন, ‘ছাত্রদের দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি। উনি আসলে এ নিয়ে কথা হবে। সিরিয়াসলি এটা আমরা দেখছি। ছাত্ররা আমাদের যে দাবি দিয়েছে, সে দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত আমিও।’

বুধবার বিকাল ৪টা ৩৭ মিনিটে রায়ডাঙ্গা গ্রামে উপস্থিত হয়ে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন ভিসি সাইফুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। কবর জিয়ারতের পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এরপরই আবরার ফাহাদের বাড়ির দিকে রওনা হন ভিসি সাইফুল ইসলাম। কিন্তু স্থানীয় নারী-পুরুষ-শিশুদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। পরে আবরার ফাহাদের বাড়িতে না গিয়ে পুলিশের সহায়তায় স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে হত্যায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আসামির সংখ্যা ১৪-তে উন্নীত হলো।