আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার রায় আজ - দৈনিকশিক্ষা

আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নয় বছর আগে রাজধানী সংলগ্ন আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলার রায় হবে আজ (২ ডিসেম্বর)।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহানের আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে আসামিদের আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডই হবে। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি। যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলেই আশা করছি।

২২ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই রায়র জন্য ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।

নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। ওই ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় এক বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক।

এরপর ছাত্র অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরোধিতার মুখে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ অভিযোগপত্রের পরে মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে আসে। ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এছাড়া ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

হত্যা মামলার ৬০ আসামির মধ্যে ছয়জন পলাতক এবং এছাড়া দুই আসামি মারা যাওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি ৫২ আসামির একজন বাদে সবাই জামিনে ছিলেন।  ২২ নভেম্বর তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে ৫৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।  

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038251876831055