আমি শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি, সব দাবিই যৌক্তিক: কুবি ভিসি | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

আমি শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি, সব দাবিই যৌক্তিক: কুবি ভিসি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। সভায় আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন এবং প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। সভায় আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন এবং প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সকল কথা শুনেছি। সকল দাবিই যৌক্তিক। আমাদের এসব দাবি পূরণের তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা কম রয়েছে। দুটো হলের নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষার্থীরা তবে অফিশিয়ালি পরিবর্তন করতে একটু সময়ের দরকার। আব্দুল কাইয়ুমের নামে আমরা যে চত্বর করবো সেটির কাজ দ্রুত হবে, একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

আমি শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি, সব দাবিই যৌক্তিক: কুবি ভিসি

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার ইচ্ছা থাকলেও হয়তো সম্ভব হবে না। কারণ এগুলো অনেক ব্যয়বহুল। তবে আমরা আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেলে উপদেষ্টাদের কাছে তা পাঠিয়ে দিবো। তারা সাহায্য করবেন বলে আশাবাদী। নতুন ক্যাম্পাসের প্রকল্পের সঙ্গে যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা নতুন ক্যাম্পাস ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জুনে হস্তান্তরের কথা থাকলেও তা তারা ২০২৫ এর ডিসেম্বরে হস্তান্তর করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’

মতবিনিময়কালে ফাতেমাতুজ জোহরা মিম বলেন, ‘১১ জুলাই যখন আমার ভাইয়েরা পুলিশের বর্বরতার শিকার হয় তখন আমরা হল থেকে কয়েকজন মেয়ে বের হয়ে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনে যোগ দিই। পরের দিনগুলোতে ফ্রন্টলাইনে ছিলাম, নিজেও আহত হয়েছি এসব বলতে চাচ্ছিনা। কিন্তু ১৮ জুলাই রাতে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয় আমরা তখন একটা মেসে আশ্রয় নিই এবং সেখানেও হামলার চেষ্টা করা হয়। আমি চাই এসব বর্বরতার সাথে জড়িত সকলের শাস্তি হোক।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘১১ তারিখে আমরা কুবি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে প্রথম হামলার শিকার হই। তখন আমাদের দুই হলের বোনেরা আমাদের ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। সব হলের, মেসে এবং সব জায়গার শিক্ষার্থীদের অবদানে আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমি শ্রদ্ধাভরে সকল শহিদকে স্মরণ করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন প্রশাসন এসেছে। তারা সেই স্বৈরাচারের আমলে ভাবতেও পারতো না তারা এখানে আসতে পারবে। কিন্তু তাদের যথেষ্ট যোগ্যতা ছিল। তারা আমাদের এই আন্দোলনের জন্য এই জায়গায় আসতে পেরেছে বলে মনে করি। আমি আশাকরি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবেন। আমি আশা করি এই বাংলাদেশে ধর্ম, বর্ণের কোন বিভেদ আর থাকবে না।'

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।