যশোরের কেশবপুরে নতুন ভবন না হওয়ায় দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে শ্রেণীকক্ষ সংকটে ঐতিহ্যবাহী ভেরচি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এরপরও গত এপ্রিলে ওই বিদ্যালয়ের ভবনের সমস্ত টিন আম্ফান ঝড়ে উড়ে যায়। এ সময় প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করা হলেও রাজনৈতিক রশি টানাটানির কারণে মেলেনি অর্থ।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে কেশবপুর উপজেলর ভেরচি বাজারের পাশে ১ একর ১৩ শতক জমির ওপর ভেরচি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন ১৬ জন। বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ১০টি শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন থাকলেও ১৯৯০ সালে সরকারিভাবে ৩ রুম বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে সংকুলান না হওয়ায় ওই সময় শিক্ষকদের বেতনের টাকায় ৬ রুম বিশিষ্ট আরও একটি টিনসেড ভবন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে অতিকষ্টে চলতে থাকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
এদিকে, দীর্ঘদিনে বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবনটি সংস্কার না হওয়ায় এর দরজা জানালা ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রেণীকক্ষের শিক্ষকদের ব্যবহারের চেয়ার, টেবিলও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কলাগাছি ভায়া চুকনগর সড়কের পাশে অবস্থিত। সীমানা প্রাচীর থাকলেও নেই কোন গেট। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সব সময় থাকে অরক্ষিত। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পারভেজ, ঐশী ঘোষ জানায়, গতবছর থেকে ভেরচি পুলিশ ফাঁড়ির পুণর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের থাকার জন্য বিদ্যালয়ের ২টি শ্রেণীকক্ষ নিয়ে নেয়। ফলে শ্রেণীকক্ষ সংকটের ভেতর দিয়ে তাদের পাঠদান করাতে গিয়ে স্যারদের হিমশিম খেতে হয়ে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, তার বিদ্যালয়টির সমস্যার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এর একটি সরকারি ভবন। নতুন ভবন চেয়ে আবেদন দেয়া হয়েছে সরকারের বিভিন্ন দফতরে। রাজনৈতিক রশি টানাটানির কারণে আজও ভবন সমস্যার সমাধান হয়নি।
ঊপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের কথা আমার অজানা নয়। বর্তমান সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকে গেছে। কেশবপুরে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে নতুন ভবন হয়েছে। অতিদ্রুত ওইসব প্রতিষ্ঠানের ভবন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।