আরও দুইটি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, খুলনার দৌলতপুর কলেজ (দিবা-নৈশ) ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শেখ হাসিনা পদ্মপুকুর ডিগ্রি কলেজ। কলেজ দুটি সরকারিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। এগুলোর মধ্যে খুলনার দৌলতপুর কলেজটি (দিবা-নৈশ) সরকারিকরণের সুপারিশ করেছেন খুলনার জেলা প্রশাসক। কলেজটি সরকারিকরণের সুপারিশসহ তার তৈরি করা প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর শেখ হাসিনা পদ্মপুকুর ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলা আছে কিনা তা জানাতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, খুলনার দৌলতপুর কলেজটি (দিবা-নৈশ) সরকারিকরণের সরকারিকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত নভেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছিল। সে প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের মতামত চেয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জেলার জনসংখ্যা, কলেজের সার্বিক অবস্থা ও সদর উপজেলার কোটা বিবেচনায় কলেজটি সরকারিকরণের সুপারিশ করেছেন জেলা প্রশাসক। একই সাথে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি ৭ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশ প্রতিবেদনে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, কলেজটি ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। কলেজেটি সুনামের সাথে ৫০ বছর পার করেছে। কলেজের নিজস্ব জমি, পুকুর, কম্পিউটার ল্যব, খেলার মাঠ, শহীদ মিনার রয়েছে। দৌলতপুর শিল্পাঞ্চল। কলেজটি সরকারি হলে এলাকার অস্বচ্ছল শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানরা স্বল্প খরচে লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে জেলায় ১৮টি সরকারি ও ৫৭টি বেসরকারি কলেজ রয়েছে। আর দৌলতপুরে সরকারি কলেজ আছে ১টি। এসব তথ্য তুলে ধরে কলেজটি সরকারিকরণের সুপারিশ করেছেন জেলা প্রশাসক। গত ৭ সেপ্টেম্বর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শেখ হাসিনা পদ্মপুকুর ডিগ্রি কলেজের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা বা অন্য কোন অভিযোগ আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। গত ২৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে কলেজটির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আছে কিনা বা কলেজ সরকারিকরণের বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলা আছে কিনা তা জানাতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। গত ৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে চিঠি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।