ইউজিসির চেয়ারম্যান আলমগীরকে অপসারণ ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন - দৈনিকশিক্ষা

ইউজিসির চেয়ারম্যান আলমগীরকে অপসারণ ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মিথিলা মুক্তা, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকা অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে অপসারণ ও বিচার দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী সমাজ নেতারা।  প্রফেসর আলমগীর ইউজিসির সদস্য ও বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন বৈষম্য বিরোধী প্রকৌশলী সমাজ এর পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও আলোচনা করেন ইঞ্জিনিয়ার  মোতাহার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. সাব্বির মোস্তফা খান ও ইঞ্জিনিয়ার  মো. আরিফুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলমগীর একজন স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচারের দোসর। তাকে ইউজিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বসহ সদস্য পদ থেকে অপসারণ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। তাকে অপসারণ করা না হলে ছাত্র-জনতা সম্মিলিতভাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। এক্ষেত্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।

 আরো বলা হয়, আলমগীর ২০১০থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ২ মেয়াদে ৮ বছর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে কুয়েটের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। ক্যাম্পাসকে নোংরা রাজনীতি ও সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়। তার দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি কুয়েটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেন এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে থাকেন। তার পৃষ্ঠপোষকতা ছাত্রলীগ কুয়েট ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, কুয়েটে কখনো মদ জুয়ার কথা চিন্তাই করা যেত না। কিন্তু আলমগীরের সময়ে এই অনৈতিক কাজকে আশ্রয় ও প্রশয় দেওয়া হয়। এমনকি অতিরিক্ত মদ্যপান করে ছাত্রলীগ সভাপতির মৃত্যুবরণের পর শিক্ষক ও সাধারণ ছাত্রদের বিরোধিতা সত্ত্বেও ওই ছাত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে ক্যাম্পাসে স্মৃতি ফলক তৈরি করা হয়।

ইউজিসির সদস্য হিসেবেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, নিয়োগ, পদোন্নতি, তদারকি, পরিদর্শন, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা, পরীক্ষার ফলাফলের স্বচ্ছতা বিধান, সার্টিফিকেট ব্যবস্থাপনা, পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, পক্ষপাতিত্ব ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

 

আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি - dainik shiksha আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ - dainik shiksha শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার - dainik shiksha মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন - dainik shiksha অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064911842346191