ইবতেদায়ি শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান (ভিডিও) - দৈনিকশিক্ষা

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারিকরণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির সপ্তম দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষকরা গতকাল শনিবার রাতেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেছেন। শিক্ষকদের যৌক্তি দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। আজ রোববারের (৭ এপ্রিল) মধ্যে  দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসলে অনশনের মতো কর্মসূচিতে ঘোষণা করা হবে বলে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান। 

সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন,১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদারাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হতে হতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোতে। প্রাথমিকের ন্যায়  ৫ম শ্রেণিতে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকের শিক্ষকের মতই সরকারি বিভিন্ন কাজে অংশ নেন মাদরাসা শিক্ষকরা। অছত মাস শেষে প্রাথমিকের শিক্ষকরা ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়। কিন্তু ইবতেদায়ি শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পায় না। তবুও তারা প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায় তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

শিক্ষক নেতা মো. ইনতাজ বিন হাকিম বলেন, সারা দেশে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রায় ১৫ হাজার। প্রতিটিতে শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন করে। সব মিলে প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষক রয়েছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায়। কিন্তু মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক দুই হাজার ৫০০ ও সহকারী শিক্ষকরা ২ হাজার ৩০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। বাকি শিক্ষকরা ভাতাও বঞ্চিত।

সরকারিকরণসহ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা ২০১৮ সংশোধন করে সহজ শর্তে সরকারিকরণ করা, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি নবায়নের সহজ আইন প্রণয়ন করা, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষককে বহাল রাখা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা, ২ জন আলিম শিক্ষকের মধ্যে ১ জন এইচএসসি (সমমান) শিক্ষক অন্তর্ভুক্তিকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রতিটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার অফিস সহায়ক নিয়োগ প্রদান, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ইবতেদায়ি মাদরাসার আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের কোডপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৯৯৮ ও মন্ত্রণালয়ের আবেদন করা মাদরাসাগুলোকে কোড প্রদান করে সব মাদরাসাকে সরকারিকরণ করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন, সমিতির মহাসচিব সভাপতি মাও. হাফেজ কাজী ফয়েজুর রহমান, সহ সভাপতি মাওলানা মো. শাহজাহান, এ বি এম আব্দুল কুদ্দুস, আবু মুসা ভূঁইয়া, মো. সামছুল আলম, হাফেজ মাহমুদ, নাসরিন বেগম, আলেয়া খাতুন, হাফিজা খাতুন, লাভলী আক্তার, অজুপা খাতুন, মানছুরা, মাহফুজা, মাকসুদুল হক, হাসান, গোলাম মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম, মুক্তারুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব, মাওলানা জাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, অনিক মাহমুদ, আব্দুল হালিম, আমিনুল ইসলাম, আবু বক্কর ছিদ্দিক, রাশেদুল ইসলাম, আলামিন, নজরুল ইসলাম, মফিজ উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.019187927246094