ইবিতে প্রথম বর্ষের বৃত্তির টাকা মেলে শেষ বর্ষে - দৈনিকশিক্ষা

ইবিতে প্রথম বর্ষের বৃত্তির টাকা মেলে শেষ বর্ষে

ইবি প্রতিনিধি |

প্রতি বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে বিভাগের প্রথম ছয় শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে থাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই টাকা যথাসময়ে দেওয়া হয় না। প্রথম বর্ষের টাকা মেলে শেষ বর্ষে। ফলে এই টাকা একাডেমিক কোনো কাজে আসে না।

ইবি সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২০১৬-১৭, ২০১৫-১৬ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের বৃত্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে অনেক বিভাগে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না থাকলে স্নাতকোত্তরও শেষ হতো এই বর্ষের শিক্ষার্থীদের। স্নাতকের শেষ প্রান্তে এসে প্রথম বর্ষের মেধাবৃত্তির টাকা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বৃত্তিপ্রাপ্তরা। একই সঙ্গে এভাবে বৃত্তি প্রদান মেধাবীদের মধ্যে উৎসাহের পরিবর্তে ক্ষোভ সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন তাঁরা।

প্রতি বছর মেধাতালিকায় থাকা প্রথম ছয়জনের তিনজনকে মেধাবৃত্তি এবং তিনজনকে সাধারণ বৃত্তি দেয় প্রশাসন। ১৯৯৬ সাল থেকে একই হারে বৃত্তি দেওয়া হলেও ২০১৮ সালে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়। এতে মেধাবৃত্তিতে মাসে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তির ক্ষেত্রে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা করা হয়। বিভাগ থেকে নতুন হারে বৃত্তি প্রদানের নোটিশ দিলেও এবারও পূর্বের হিসাবে টাকা দেওয়া হয়েছে।

বৃত্তির টাকা প্রদানে দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘মেধাবীদের উৎসাহিত করতে ও টিউশন ফি বাবদ বৃত্তি দেওয়া হয়। কিন্তু সময়মতো টাকা না পাওয়ায় বৃত্তির টাকা একাডেমিক কাজে আসছে না। কর্তৃপক্ষ চাইলে ফল প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই টাকা দিতে পারে, আর তখনই বৃত্তির মূল লক্ষ্য পূরণ হবে।’

ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য-প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রথম বর্ষের টাকা চার বছর পর পেলাম। এরপরও আবার এক-তৃতীয়াংশ কম দেওয়া হলো। এই বৃত্তির টাকা পেতে ব্যাংকে আবার ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়। এটা মেধাবীদের অবমূল্যায়ন।’

বৃত্তি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ইনামুল কবির বলেন, ‘আগে থেকে বৃত্তি প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা ছিল। আমরা এটি কমানোর চেষ্টা করছি। করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না থাকলে এর মধ্যে আরো দুই শিক্ষাবর্ষের টাকা দেওয়া যেত। পরবর্তী সেশনগুলো যথাসময়ে বৃত্তির টাকা পাবে বলে আশা করি। আর বৃত্তির টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি। পরবর্তী সেশন থেকে কার্যকর হবে।’

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033249855041504