ছাত্রজীবনে শিবির সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন ছাত্রলীগকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতর এ কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তাঁরা।
এর আগে ড. মাহবুবরকে প্রশাসনিক সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ। দলীয় টেন্ট থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন ভবন ঘুরে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে ড. মাহবুবরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু, তৌকির মাহফুজ মাসুদ, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন, সহসম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকি আরাফাতসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেন।
সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর বলেন, ‘ড. মাহবুবর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র থাকা অবস্থায় শিবির করতেন। এর আগেও আমি এ দাবি জানিয়েছিলাম। এ জন্য তিনি আমার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলাও করেছেন। এখন বিষয়টি প্রমাণিত। তাই আমরা তাঁকে সব প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার একটি বেসকারি টেলিভিশনে ড. মাহবুবরের শিবির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বক্স হল শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাহবুবর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় শিবির নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র পাঠক ফোরমের সদস্য ছিলেন।’
তবে অভিযুক্ত সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর বলেন, ‘বরাবরের মতো বলছি তাদের অভিযোগের একটিও প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাব। আমি যেহেতু আইনের আশ্রয় নিয়েছি, সম্পূর্ণ বিষয়গুলো আদালতেই মীমাংসা হবে।’ এ ছাড়া আসাদুজ্জামানের বক্তব্যর বিষয়ে ড. মাহবুবর আরো বলেন, ‘তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অবান্তর বক্তব্য দিয়েছেন।’