ইস্তফা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসে চাকরি করা সেই শিক্ষিকা - দৈনিকশিক্ষা

ইস্তফা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসে চাকরি করা সেই শিক্ষিকা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি |

প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই আমেরিকা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সেই সহকারী শিক্ষিকা চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।  তিন মাসের ছুটি নিয়ে দেড় বছর যাবৎ আমেরিকায় অবস্থান করছেন শিক্ষিকা তানিয়া রহমান।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, তানিয়া রহমান মির্জাপুর পৌরসভার ২৬ নম্বর বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি ২০১৯ সালের ৩ জুলাই থেকে ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে স্কুল থেকে তিন মাসের ছুটি নেন। ছুটি নিয়ে তিনি একই বছরের ২ জুলাই সপরিবারে আমেরিকায় চলে যান। তার পর থেকে স্কুলের সঙ্গে তানিয়া রহমানের কোনো যোগাযোগ নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে একাধিকবার এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়ে তার ঠিকানায় পত্র পাঠালেও কেউ তা গ্রহণ করেননি বলে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে।

সর্বশেষ তানিয়া রহমানের ঠিকানায় ২৩ জুলাই ২০২০ তারিখে কৈফিয়ত চেয়ে পত্র পাঠায় উপজেলা শিক্ষা অফিস। ওই পত্রটিও কেউ গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া রহমান ও তার পরিবার। ছবি: সংগৃহীত 

 দৈনিকশিক্ষাডটকমসহ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় প্রশাসনসহ ওই শিক্ষিকার নজরে আসে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ওই দিন তানিয়া রহমান চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর ইস্তফাপত্রটি গতকাল বুধবার মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছে।

আরও পড়ুন : ৩ মাসের ছুটি নিয়ে দেড় বছর যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকা

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলুয়ারা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল।

মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সহকারী শিক্ষক তানিয়া রহমান তিন মাসের ছুটি নিয়ে আমেরিকা চলে যান। দীর্ঘ দেড় বছর পর প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই তিনি তার চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005652904510498