পবিত্র ঈদুল আজহা ও ১৫ আগস্ট শোক দিবসকে ঘিরে পৃথক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, ঈদের আগে ও ঈদ-পরবর্তী নিরাপত্তার বিষয়ে পৃথক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ‘পবিত্র ঈদুল আজহা ও জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
র্যাব ডিজি বলেন, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন। পশুর হাটে জাল টাকা ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে র্যাব সদস্যরা বেশ তৎপর রয়েছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করছে র্যাব। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার জন্য এবার অনেক সড়ক ও রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে যান চলাচলে কোথাও কোথাও ধীরগতি রয়েছে। যতটুকু সম্ভব ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে র্যাব সর্বদা কাজ করছে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, সারাদেশে মহাসড়কে ৪২টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা শনাক্ত করা হয়েছে। সেসব স্থানে যেন ফের দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আমাদের নজরদারি রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে চালকদের ভূমিকার পাশাপাশি যাত্রীদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
এলিট ফোর্স র্যাব প্রধান বলেন, জাতীয় ঈদগাহসহ গুরুত্বপূর্ণ সব ঈদগাহের নিরাপত্তায় ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় মনিটরিং থাকছে। এছাড়া, ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়। যেখানে-সেখানে কোরবানি করে শহর নোংরা করবেন না। এজন্য সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে শহর পরিষ্কার থাকবে।