প্রথমবারের মত স্বল্পতম সময়ে সরাসরি সরকারী তহবিল থেকে মাধ্যমিক স্তরের ১২ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি পৌঁছে গেল বিকাশে। গত ২০ মে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জি-টু-পি (গর্ভমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এর উপবৃত্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। নতুন এই পদ্ধতিতে আরো কম সময়ে, আরো সাশ্রয়ে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে উপবৃত্তির অর্থ ঈদের আগেই পৌঁছে দেয় বিকাশ। উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রমের ব্যাংকিং অংশীদার অগ্রণী ব্যাংক।
স্কুল শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালিত সবচেয়ে বড় উপবৃত্তি প্রকল্প।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, করোনার এই ক্রান্তিকালে সকলের মত দেশের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা সংকটে আছেন। এই সময়ে উপবৃত্তির এই টাকা তাদের শিক্ষা উন্নয়নে সুখবর বয়ে নিয়ে আসবে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী ও শিক্ষার উন্নয়ন কর্মসূচী জিটুপি পদ্ধতির কল্যাণে আরো একধাপ এগিয়ে গেল।
উল্লেখ্য অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আরো দুটি প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক স্তরের ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি জিটুপি পদ্ধতিতেই বিতরণ করা হবে।
বিকাশের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোভিড-১৯ এর এই বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুততা, স্বচ্ছতা এবং যর্থাথতার সাথে উপবৃত্তি বিতরণে কার্যক্রম ঈদের আগেই শেষ করতে পেরে বিকাশ গর্বিত ও আনন্দিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে আগামী দিনেও আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।