বিয়ের প্রলোভনে ঢাকা জেলার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. সনজয় চক্রবর্তীর (৪৮) বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার স্কুলশিক্ষিকা আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সঙ্গে উপসচিব ড. সনজয় চক্রবর্তীর পরিচয়। পরিচয়ের পর সনজয় চক্রবর্তী তার সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। একপর্যায়ে সনজয় চক্রবর্তী তার মুঠোফোনেও যোগাযোগ করতে থাকেন। এভাবে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সনজয় চক্রবর্তী তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হয়ে যান।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল সনজয় চক্রবর্তী তাকে লঞ্চে চাঁদপুর ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। ওই দিন লঞ্চের কেবিনে সনজয় চক্রবর্তী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে প্রথমে তিনি অসম্মতি জানান। একপর্যায়ে সনজয় চক্রবর্তী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি শারীরিক সম্পর্কে রাজি হন।
পরবর্তীতে ওই স্কুলশিক্ষিকা সনজয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করতে অনুরোধ জানালে, তিনি ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে অফিসে ডেকে আসামি সনজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন এবং যোগাযোগ করলে স্কুল থেকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ওই স্কুলশিক্ষিকা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য এ বছরের ৮ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিস পাঠান। লিগ্যাল নোটিসের কোনো জবাব না দিয়ে আসামি সনজয় চক্রবর্তী তাকে পুনরায় হুমকি দেন।
এ বিষয়ে সনজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেননি। পরবর্তীতে তাকে সংবাদকর্মী পরিচয়ে বক্তব্য নেয়ার বিষয়ে ম্যাসেজ দিলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
উল্লেখ্য, উপসচিব ড. সনজয় চক্রবর্তী বর্তমানে রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রকল্প পরিচালক। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে।