উৎসব মাটি অনিয়মে - দৈনিকশিক্ষা

উৎসব মাটি অনিয়মে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দীর্ঘ ২৮ বছর পর গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। উৎসবের অপেক্ষায় ছিল সব শিক্ষার্থী, কিন্তু ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকে শেষ পর্যন্ত নানা অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলায় ম্লান হয়ে যায় উৎসব। তবে দিন শেষে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উৎসবে মেতে উঠলেও অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন শরীফুল আলম সুমন, রফিকুল ইসলাম ও হাসান মেহেদী । 

কথা ছিল ভিসি মো. আখতারুজ্জামান সিনেট ভবনে এসে ডাকসুর ফল ঘোষণা করবেন। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তবে রাত সোয়া ২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ভিসি ফল ঘোষণা করতে আসেননি।

হল সংসদ নির্বাচনে ১৮ হলের মধ্যে পাঁচ হলে সহসভাপতি (ভিপি) ও চার হলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হন। ১৩ হলে ভিপি ও ১৪ হলে জিএস পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। শামসুন্নাহার হলে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ১৩ পদের আটটিতেই স্বতন্ত্র প্যানেল জয়ী হয়েছে।

গতকাল ভোট শুরু হওয়ার আগেই কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার পাওয়া নিয়ে উত্তাল হয় ক্যাম্পাস। ওই হলে ভোট শুরু হয় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে। বেগম রোকেয়া হলেও দুই দফা বন্ধ থাকে ভোট। এ ছাড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ব্যালট পেপারে কোনো ক্রমিক নম্বর না থাকায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পর্যবেক্ষকরাও।

সরেজমিনে ঘুরে এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি হলেই ভোটের লাইন নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রও যাচাই করে তারা। এ ছাড়া অনেক হলেই দুটি করে লাইন চোখে পড়ে। এর একটি লাইন কৃত্রিম বলে জানা যায়। আরেকটি লাইনে বিশেষ সংগঠনের ভোটারদের দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। কৃত্রিম লাইন খুবই ধীরগতিতে এগোলেও অন্য লাইনে দাঁড়াতে পারলে দ্রুতই ভোট দিতে পেরেছে ভোটাররা।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিভিন্ন হল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে গণতান্ত্রিক রীতি অনুসরণ করেছে, এর প্রশংসা করতেই হয়। যতগুলো ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করলাম তাতে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।’

বিব্রত রিটার্নিং অফিসার : নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন প্যানেলের পক্ষ থেকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগ জমা দিতে গেলে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় চিফ রিটার্নিং অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি বিব্রত।’ প্রার্থীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলব না, তবে তোমাদের কথা শুনেছি। আমার কী ক্ষমতা আছে বলো? তোমাদের কথাগুলো আমি যথাযথ জায়গায় জানাব।’

ছাত্রলীগ ছাড়া সবার বর্জন : ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেল ছাড়া অন্য সব প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। আজ ছাত্র ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে তারা। গতকাল প্রথমে দুপুর সোয়া ১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করার ঘোষণা দেয় বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কারপন্থী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুই প্যানেল স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট এবং ছাত্র ফেডারেশন। এরপর দেড়টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। সব শেষে বর্জনের ঘোষণা দেয় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।

সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী লিটন নন্দী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এই প্রহসনের নির্বাচন, জালিয়াতির নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। হলগুলোতে ভোটের পরিবেশ নেই। ভোট হতে হবে একাডেমিক ভবনে। আমরা অবিলম্বে পুনর্নির্বাচনের দাবি করছি।’

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, শহীদুল্লাহ হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলসহ বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে বলে জানানো হয় ওই সময়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের ভিপি পদপ্রার্থীর উপস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী নুরুল হক নূরুর ওপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

পরে ছাত্রদলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান আলাদা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা দলকানা প্রশাসনের একপক্ষীয় আচরণ, রাতভর কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালটে ভোট প্রদান, বিভিন্ন প্রার্থীর ওপর হামলা ও ভোটারদের বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে ভোট বর্জন করলাম।’

এরপর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিকেল ৫টার দিকে বামজোটের ভিপি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনকারী সব দল ও প্যানেলের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বলছি, ফল বাতিল ও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ হবে। ডাকসু নির্বাচন যদি বাতিল করা না হয় এবং রাতে ফল ঘোষণা করা হয় তাহলে মঙ্গলবারের কর্মসূচি থাকবে। তবে এটা ছাত্র ধর্মঘট না, সবাই ক্যাম্পাসে আসবেন, ক্লাসে যাবেন না।’

কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি ছাপ মারা ব্যালট : কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি ক্রস চিহ্ন (ভোট দানের চিহ্ন) দেওয়া ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। ওই সব ব্যালটে ছাত্রলীগের হল সংসদের প্রার্থীদের পক্ষে চিহ্ন দেওয়া ছিল। এ কারণে স্থগিত করা হয় ওই হলের ভোট। পরে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকালে ভোট শুরু হওয়ার আগে ব্যালট বাক্স দেখাতে চাইলে তা রিডিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে ব্যালটভর্তি একটি বস্তা পাওয়া যায়।

সকাল সোয়া ১০টায় কুয়েত মৈত্রী হলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। এর পরই নির্বাচনী কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুয়েত মৈত্রী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেয়। নতুন প্রাধ্যক্ষ করা হয় মাহবুবা নাসরিনকে।

তবে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনার ব্যাপারে জিএস পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘কিভাবে ব্যালট হাতছাড়া হওয়ার ঘটনা ঘটেছে পুরো জাতি তা দেখেছে। তবে এই ব্যালটগুলো ভুয়া, মূল ব্যালটের সঙ্গে এর মিল নেই।’

রোকেয়া হলে দুই দফা ভোট স্থগিত : বেগম রোকেয়া হলে দুই দফা ভোট স্থগিত করা হয়। ওই হলে ৯টি ব্যালট বাক্স পাঠানোর কথা থাকলেও প্রার্থীরা ছয়টি দেখতে পান, যা নিয়ে হট্টগোলে এক ঘণ্টা দেরিতে ভোট শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভোটগ্রহণ কক্ষের পেছনে আরেকটি কক্ষে ব্যালট পেপার বোঝাই ট্রাংক পেলে আবার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে ১২টা ১০ মিনিটে আবার ভোট স্থগিত করা হয়। পরে নতুন করে ভোটগ্রহণ শুরু হয় বিকেল ৩টায়।

এই পরিস্থিতির মধ্যে ডাকসুর ভিপি পদে ছাত্রলীগের প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং জিএস পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানী রোকেয়া হলে গেলে শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। ওই সময় ভিপি পদপ্রার্থী নুরুল হক নূরও খবর পেয়ে সেখানে যান। তখন তাঁর ওপর হামলা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। পরে নূর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

তবে দ্বিতীয় দফা ভোট স্থগিতের সময় চিফ রিটার্নিং অফিসার তা দেখতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ঢুকতে দেয়নি। এমনকি তাঁকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

হলে হলে কৃত্রিম লাইন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ একটি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল ভোটাররা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ভোট দিতে না পেরে বেরিয়ে যান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম ফয়সাল। তিনি  বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ছিলাম। লাইন এগোয় না। মনে হয় আমাদের লাইনে মাত্র সাত-আটজন এই সময়ে ভোট দিতে পেরেছে। তাই অপেক্ষা না করে ফিরে যাচ্ছি।’ একই লাইনে দাঁড়নো নাঈমের এক বন্ধুও ফিরে যান। দুপুর ১টার দিকে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে গিয়ে দেখা যায়, ৩০০ থেকে ৩৫০ শিক্ষার্থীর দুটি লাইন। অনাবাসিক শিক্ষার্থী সায়মন কেন্দ্রে ঢোকার গেট থেকে ১৫ জনের পেছনে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আড়াই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। দেখি ভোট দিতে পারি কিনা।’ কিন্তু দুপুর ২টার সময় ওই হলে গিয়েই দেখা যায়, লাইনে একজনও নেই। মুহসীন হলে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জুবায়ের আল হাসান। তিনি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় দাঁড়িয়েছি। এখনো ভোট দিতে পারিনি। সামনে কমপক্ষে ৪০ জন আছে।’ ওই হলেই দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের বড় জটলা। পরে অন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, তারাই মূলত ভোটের লাইন নিয়ন্ত্রণ করছে।

পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন : ডাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক। তাঁরা বিভিন্ন হলে যান। সকাল সাড়ে ১১টায় মুহসীন হল থেকে বেরিয়ে প্রতিনিধিদলের পক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কুয়েত মৈত্রী হল, স্যার এফ রহমান হল ও মুহসীন হলের ভোট পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে মৈত্রী হলের কথা সবাই জানেন। বাকি দুটি হলে আমরা দেখেছি, একেকজন শিক্ষার্থী আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে। ফলে যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া একজন ভোটার ভোট দিতে সময় নিয়েছে পাঁচ মিনিট থেকে ২২ মিনিট পর্যন্ত। যারা লাইনে আছে তারা শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে পারবে কি না সন্দেহ রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখেছি ব্যালট পেপারে সিরিয়াল নম্বর নেই। ফলে একটি হলে কত ব্যালট দেওয়া হলো এর হিসাব কিভাবে থাকবে? সূর্য সেন হলে কত ব্যালট দেওয়া হয়েছে এর হিসাব কিভাবে হবে? আর হিসাব দেওয়া হলেও তা বিশ্বাস করা কঠিন। এ ছাড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল কম। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমরা দেখেছি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।’

লিটন নন্দীর ওপর হামলা : সকাল ১১টার দিকে মুহসীন হলে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বাম জোটের প্রার্থী লিটন নন্দী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই সময় ছাত্রলীগ ও বাম জোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ির ঘটনা ঘটে। হলের প্রভোস্ট বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝি থেকে এ রকমটা হয়েছে।’

এ ছাড়া কুয়েত মৈত্রী হলে, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে জাসদ ছাত্রলীগের ভিপি ও জিএস পদপ্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে।

ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন : সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ। সংগঠনের সভাপতি ও ডাকসুতে ভিপি পদপ্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নুরুল ও লিটন নন্দীকে মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন। জিএস পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে বাম সংগঠনসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতারা যে তাণ্ডব চালিয়েছেন, তার নিন্দা জানাই। যাঁরা ডাকসু নির্বাচন বর্জন করেছেন, তাঁরা একটি সুন্দর নাটক মঞ্চস্থ করতে চেয়েছিলেন। তাঁদের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন নেই বলেই তাঁরা এমন একটি এক্সিট খুঁজছিলেন।’

ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032341480255127