সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল আগামি শনিবার (১৮ আগস্ট) প্রকাশিত হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এতথ্য নিশ্চিত করেন। গত ১৯ জুলাই প্রকাশিত এইচএসসির ফল সন্তোষজনক না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খাতা পূনর্নিরীক্ষণের জন্য আাবেদন করেন। ২০ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় এবার সোয়া লাখ শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। যদিও কয়েক বছর ধরে আবেদন করার হার বেড়েই চলেছে। শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, গতবার থেকে শিক্ষার্থীরা জিপিএর সঙ্গে নম্বরপত্র বা কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছেন, তা দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এ কারণেই পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সংখ্যা বেড়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, ১৯ জুলাই প্রকাশিত ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় খাতা পুনর্নিরীক্ষণের রেকর্ড হয়েছে। এবার ১০ শিক্ষা বোর্ডে এক লাখ ২৫ হাজার ২৩৮ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে অন্তত তিন লাখ আবেদন করেছেন। যদিও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। গত বছরের তুলনায় এবার আবেদনকারী বেড়েছে প্রায় ১৫ হাজার। আর আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে ৩৩ হাজারের বেশি। ১০টি শিক্ষা বোর্ড থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এত বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীর খাতা পুনর্নিরীক্ষণকে পাবলিক পরীক্ষায় খাতা মূল্যায়নের প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনাস্থা বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। ২২ আগস্ট এই খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
৮টি সাধারণ বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্যমতে, সারাদেশের মোট আবেদন করা পরীক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৪৬ হাজার ৩৭০ পরীক্ষার্থী এক লাখ ৩৪ হাজার খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছেন। চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৭ হাজার ৭৪০ আবেদনকারী ৬১ হাজার ৬৯৯টি আবেদন করেছেন। বরিশাল বোর্ডে ৩ হাজার ৭৮৩ পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ৬৮২টি খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছেন। যশোর বোর্ডে ১৩ হাজার ১৫৪ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৩৩ হাজার ৫৫৮টি আবেদন পড়েছে। রাজশাহী বোর্ডে ১৩ হাজার ৪২৮ পরীক্ষার্থী ৩৪ হাজার ৪৬৮টি আবেদন করেছেন। দিনাজপুর বোর্ডে ৮ হাজার ৮৫৭ পরীক্ষার্থী ২৩ হাজার ৫৪২টি আবেদন করেছেন। সিলেট বোর্ডে ৭ হাজার ৬২৯ পরীক্ষার্থী মোট ১৮ হাজার ৩২২টি আবেদন করেছেন।