এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে রিভিউ আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে অসন্তুষ্ট হয়ে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করলেও ফল পরিবর্তন হয়েছে হাতে গোনা কয়েক জনের। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটা থেকে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে ৪ হাজার ১১৫ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করলেও মাত্র একজন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
চট্টগ্রাম বোর্ডের ১ হাজার ৮৮৫ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করলেও বোর্ডের মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। তবে, ফল পরিবর্তনে কেউ জিপিএ ফাইভ পায়নি।
কুমিল্লা বোর্ডের কোন শিক্ষার্থীর ফলই পরিবর্তন হয়নি। এ বোর্ডে ১ হাজার ২৭ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
বরিশাল বোর্ডের মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এ বোর্ডে ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
ময়মনসিংহ বোর্ডের ৯১৬ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করলেও কোন শিক্ষার্থীর ফলই পরিবর্তন হয়নি।
যশোর বোর্ডের মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। যশোর বোর্ডের ১ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
রাজশাহী বোর্ডের ১ হাজার ৯২২ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করলেও মাত্র ১ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। সে নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।
সিলেট বোর্ডের মাত্র ১ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। সে নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। এ বোর্ডে ৯৪৭ জন পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
এদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের কোন আলিম পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়নি। এ বোর্ডে ৫১৭ জন আলিম পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
এখনো এইচএসসির ফল রিভিউ আবেদনের ফল প্রকাশ করেনি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকেও এইচএসসি বিএম ও ভোকেশনাল ফল রিভিউয়ের ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
জানা গেছে, ফল চ্যালেঞ্জের আবেদন করা ১৫ হাজার ৭২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু এইচএসসির ফল চ্যালেঞ্জ করেছেন ১৪ হাজার ২২০ জন। আর আলিমের ফল চ্যালেঞ্জ করেছেন ৫১৭ জন। আর এইচএসসি বিএমের ফল চ্যালেঞ্জ করেছের ৫৩৫ জন। অটোপাসের এইচএসসির ফল চ্যালেঞ্জের আবেদন বাবদ ১৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেশি আয় করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
বরিশাল বোর্ডের ৬৪২ জন শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বোর্ডের ১ হাজার ৮৮৫ জন শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বোর্ডের ১ হাজার ২৭ জন শিক্ষার্থী, ঢাকা বোর্ডের ৪ হাজার ৪১৫ জন শিক্ষার্থী দিনাজপুর বোর্ডের ১ হাজার ২২৭ জন শিক্ষার্থী, যশোর বোর্ডের ১ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী, ময়মনসিংহ বোর্ডের ৯১৬ জন শিক্ষার্থী, রাজশাহী বোর্ডের ১ হাজার ৯২২ জন শিক্ষার্থী, সিলেট বোর্ডের ৯৪৭ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছিলেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। এর পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়। মাদরাসা, কারিগরিসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। তাদের মধ্যে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
তবে, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও এইচএসসিতে তা না পাওয়া ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বেশি।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয় ‘ম্যাপিং’ করে ফল তৈরির কারণে ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি। কিন্তু আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেয়েও ১৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।