একটি বিভাগ থাকা ডিগ্রি কলেজগুলোকে এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ দিতে এবং এমপিওভুক্তির নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এমপিওভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল ও কলেজের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির আবেদনের জন্য ন্যূনতম দুইটি বিভাগ থাকার শর্তারোপ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও কর্মচারীদের দায়ের করা পৃথক ৩টি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রোববার (৫ ডিসেম্বর) এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট চারজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বেসরকারি ডিগ্রি কলেজের এমপিওভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল ও কলেজ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ প্রণনয় করেছে। নীতিমালার পরিশিষ্ট খ. এর পাদটিকায় ‘স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম ২টি বিভাগ থাকতে হবে’ বলে শর্ত উল্লেখ আছে। যেহেতু রিটকারীদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিভাগ চালু রয়েছে তাই তারা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরও এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, যদিও আগের জনবল জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালতে এই নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ফলে ডিগ্রি কলেজের পাস কোর্সে কর্মরত (রিটকারীদের মতো) প্রভাষক ও কর্মচারীরা এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্তু রিটকারীদের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই বিভিন্ন জেলার ২৯১ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।