একনেকে ১১৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পাস, উপকূলবাসীর স্বস্তির নিঃশ্বাস | বিবিধ নিউজ

একনেকে ১১৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পাস, উপকূলবাসীর স্বস্তির নিঃশ্বাস

খুলনার দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলার জন্য একটি প্রকল্প পাস হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। প্রকল্পের আওতায় লোনা পানির অভিশাপ থেকে কয়রাকে মুক্ত করতে নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ফলে প্রতিবছর বর্ষাকালে বন্যাপ্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত হবে উপজেলার মানুষেরা। একন

খুলনার দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলার জন্য একটি প্রকল্প পাস হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। প্রকল্পের আওতায় লোনা পানির অভিশাপ থেকে কয়রাকে মুক্ত করতে নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ফলে প্রতিবছর বর্ষাকালে বন্যাপ্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত হবে উপজেলার মানুষেরা। একনেক-এর এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তারা।

একনেকে ১১৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পাস, উপকূলবাসীর স্বস্তির নিঃশ্বাস

এদিকে দীর্ঘদিনের স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দে উচ্ছ্বসিত উপকূলবাসী ।             
                                     
তারা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। 

  

মঙ্গল ২৩ নভেম্বর) একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক-এর সভায় যুক্ত হন। মন্ত্রী ও  সচিবদের অংশগ্রহণে কয়রায় বাঁধ নির্মাণসহ ২৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী।

একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান বলেন, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পুরো ব্যয় বহন করবে সরকার। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। ২০২৪ এর জুনে কাজ শেষ হবে।

কয়রা-পাইকগাছার জনপ্রতিনিধি আখতারুজ্জামান বাবু কয়রা-পাইকগাছার বন্যাকবলিত মানুষের দুর্দশার চিত্র বারবার জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন। খুলনা শহর ও রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মতবিনিময় সভা আয়োজনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে তুলে ধরেছেন। তার ফসল আজকের বেড়ীবাঁধ নির্মাণের বৃহৎ প্রকল্প পাস।

খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ নানা কারণে উপকূলীয় বাঁধগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পোল্ডারিংয়ের কার্যকারিতা বিলোপ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পোল্ডার এলাকাকে রক্ষা করতে হলে স্থায়ী বাঁধ ও টেকসই বেড়িবাঁধ তৈরি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ঊধ্বর্তন মহলে কথা বলেছি। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও  আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে এই প্রকল্পটি পাস হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো উপকূলীয় এলাকাকে টেকসই বেড়িবাঁধের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার ও পুনর্নিমাণ।