একাদশে ভর্তির আবেদন: মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

একাদশে ভর্তির আবেদন: মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

অলোক সাহা, ঝালকাঠি থেকে |

তিন শিক্ষার্থীর অজ্ঞাতে আলিম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝালকাঠীর একটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ তিন শিক্ষার্থী প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের বেরপাশা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে এই তিন শিক্ষার্থী চলতি বছর দাখিল পাস করে। 

জানা যায়, জেলার রাজাপুর উপজেলার এসাহাকাবাদ হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠানে এই তিন শিক্ষার্থীর অজ্ঞাতে তাদেরকে ভর্তি করানোর জন্য আবেদন করিয়েছেন। এতে বিপাকে পড়েছে ওই তিন শিক্ষার্থী। ওই আবেদন বাতিল ছাড়া অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা আবেদনও করতে পারছে না।
  
এই তিন শিক্ষার্থী হল রিমা আক্তার, মালা আক্তার ও সারমিন খানম। তাদের সবার বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর ভাটারাকান্দা গ্রামে। এদের পাস করার পরে বাড়ির কাছে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভএকাদশে ভর্তির আবেদন: মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ 

ভুক্তভোগী তিনজনের একজন রিমা আক্তার দৈনিকশিক্ষা বলেন, আমাদের না জানিয়ে গোপনে রোল নম্বর সংগ্রহ করে এসাহাকাবাদ হোসাইনিয়া আলম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠানে জন্য আবেদন করিয়েছেন। আমাদের বাসা থেকে ওই মাদ্রাসার দুরত্ব কম পক্ষে ১২ কিলোমিটার। এত দুরে গিয়ে আমাদের লেখা পড়া সম্ভব না।

অপর শিক্ষার্থী সারমিন খানমের বাবা নূর মোহাম্মদ বলেন, আমি চায়ের দোকান করে কোন মতে সংসার চালাই । আমার পক্ষে এত দূরে পাঠিয়ে মেয়েকে পড়ান সম্ভব না।

এব্যাপারে এসাহাকাবাদ হোসাইনিয়া আলম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন দৈনিকশিক্ষাকে বলেন,‘ওই শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন ফরমে স্বাক্ষর করেছে। সাথে ওদের অভিভাবকরাও। এর পরে আমরা ওদের ভর্তি ব্যাপারে আবেদন করেছি। এখন যদি ওরা এখানে ভর্তি হতে না চায় তাহলে ওদের ভর্তি করাব না। আমরা কারও সাথে প্রতারণা করিনি।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন,কোন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে তার আবেদন করা গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধে ওই অধ্যক্ষ বহিস্কারও হতে পারেন। তিনি আরও বলেন,‘ আমি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ওই অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছিলাম, তিনি বলেছিল সংশোধন করে দিবে কিন্তু এখনও করে নাই। আমরা এ বিষয়টি বোর্ডে জানাবো, বোর্ড এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00276780128479