এক শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন আরেক শিক্ষার্থী - দৈনিকশিক্ষা

এক শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন আরেক শিক্ষার্থী

ফেনী প্রতিনিধি |

ফেনীর সোনাগাজীতে প্রধান শিক্ষকের কারসাজিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে আরেক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক ওমর ফারুক সোনাগাজী আল হেলাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক। ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থী ধরা পড়লেও শিক্ষক ওমর ফারুকের প্রভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আল হেলাল একাডেমির নিয়মিত ছাত্র হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে শাখাওয়াত হোসেন সিজান নামে ওই শিক্ষার্থী। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২০১১৫৬৬৬৩২। প্রবেশপত্র নিতে গেলে তাকে শাখাওয়াত হোসেন নামে আরেকজন অনিয়মিত শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র দেওয়া হয়, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৮১১৮৭৮৬৮০। শাখাওয়াত প্রবেশপত্রটি নিতে অস্বীকৃতি জানালে শিক্ষক ওমর ফারুক কোনো সমস্যা হবে না বুঝিয়ে তার হাতে প্রবেশপত্রটি তুলে দেন।

শাখাওয়াত হোসেন সিজান বলে, ‘বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হয়নি। ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার দিন হল পর্যবেক্ষকের হাতে ধরা পড়ি। পরে ফারুক স্যারের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয় এবং আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।’

শাখাওয়াতের মা শিউলি আক্তার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বিষয়টি কাউকে না জানাতে অনুরোধ করেছেন এবং বলেছেন কুমিল্লা বোর্ডে গিয়ে বিষয়টির সমাধান করে দেবেন। ছেলের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি। পরীক্ষায় সমস্যা হবে, তাই আপাতত বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’

তিনি জানান, তার ছেলে প্রথম দুটি পরীক্ষার উত্তরপত্রে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে, কিন্তু ফারুক স্যারের পরামর্শে পরের পরীক্ষাগুলোতে অনিয়মিত শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আল হেলাল একাডেমির একজন শিক্ষক বলেন, ‘ওমর ফারুক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যালয়ে একটার পর একটা কেলেংকারির জন্ম দিয়েছেন। ভুল করে অনিয়মিত ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাঠানোয় সমস্যাটি তৈরি হয়। বিষয়টি তখন ধরা পড়লে আমরা তাকে সংশোধনের জন্য বললে কিছুই হবে না বলে এড়িয়ে যান।’

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।’

হল সচিব জয়নাল আবদীন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। এ রকম হয়ে থাকলে শিক্ষক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র সেশনজটের মহাশঙ্কা - dainik shiksha তীব্র সেশনজটের মহাশঙ্কা কলেজে ভর্তি : অতি চালাকদের শিক্ষাবোর্ডে ধরনা! - dainik shiksha কলেজে ভর্তি : অতি চালাকদের শিক্ষাবোর্ডে ধরনা! ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষকরা কর্মসূচি চালু রাখবেন - dainik shiksha ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষকরা কর্মসূচি চালু রাখবেন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা, যা জানালেন সচিব - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা, যা জানালেন সচিব কলেজে ভর্তির সময় বাড়লো, ক্লাস শুরু ৬ আগস্ট - dainik shiksha কলেজে ভর্তির সময় বাড়লো, ক্লাস শুরু ৬ আগস্ট স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর - dainik shiksha স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053348541259766