এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারী ২৫০০ শিক্ষকের রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (২৮ জুন) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আপিলে শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাকে জানান চাকরিপ্রার্থী একাংশের আইনজীবী ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ। তিনি বলেন, মুল রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রিভিউ করবো কি না সেটি মক্কেলের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
গত ৩১ মে আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থীর করা আদালত অবমাননার মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এসব প্রার্থীকে নিয়োগের আদেশ দিলেও তার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল করেছিল এনটিআরসিএ। ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারা।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থী যারা আদালত অবমাননার মামলা করেছেন, তাদের বিষয়ে গত ৩১ মে আদেশ দিয়েছিল আদালত। রিটকারীদের আইনজীবীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলছেন, এ প্রার্থীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
যদিও এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেছেন, এসব ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের একটি অংশে বলা ছিল, এনটিআরসিএকে রিটকারী ও অন্যান্য আবেদনকারীদের অর্জিত সনদ ও নিয়োগের জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণ করে শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে। সে রায় ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে রায় অনুসারেই এনটিআরসিএ চলমান ৩য় চক্রে ও ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করেছে। তাই, আদালত অবমাননা হয়নি।
চলমান ৫৪ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ নেই।