নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজ শিক্ষকদের বেতনের আবেদন দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। দ্রুততার সাথে কাগজপত্র ও তথ্য যাচাই করে মে মাসের এমপিও আবেদন অনুমোদনে ১৪টি বিষয় যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
শুক্রবার (৮ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের পাঠানো এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠির কপি দৈনিক শিক্ষার পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
এমপিওর আবেদন দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি করতে আবেদনের সাথে আসা ১৪ টি সংযুক্তি যাচাই করতে বলা হয়েছে। এগুলো হল, প্রতিষ্ঠান প্রধানের ফরওয়ার্ডিং, শিক্ষক-কর্মচারীদের পূরণ করা এমপিও ফরম, পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, শিক্ষক-কর্মচারীদের একাডেমিক সনদ, এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ, ব্যাচেলর ডিগ্রি পরীক্ষার মার্কশিট, নিয়োগ পত্র, যোগদান পত্র, ব্যাংক একাউন্টের স্লিপ সার্টিফিকেট, শিক্ষার্থী সংখ্যা, এমপিও শিট, নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট বা এনটিআরসিএর সুপারিশ পত্র,শ্রেণি ও শাখার অনুমোদন পত্র এবং কমিটির রেজুলেশন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মে মাসের নির্ধারিত সময়ে এমপিও আবেদনের ব্যর্থ হলে পরবর্তী নির্ধারিত সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
আর পুনঃনির্ধারিত সূচি অনুসারে কলেজ ও ডিগ্রি কলেজ শিক্ষকদের আবেদনের শেষ সময় বাড়িয়ে ৭মে করা হয়েছে। ১৩ মের মধ্যে কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদন অগ্রায়ণ করতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক পরিচালকদের।
করোনার মধ্যেই নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, কোড নম্বর দেয়া ও শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদের আগেই বকেয়াসহ এমপিওর টাকা দেয়ার উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জরুরীভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদে সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। সভার পর গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত তিনটি অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয় নতুন এমপিওভুক্ত ২ হাজার ছয়শ’র বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোড নম্বর দেয়া ও নিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার। মে মাসেই যেন তারা বেতন-ভাতা পান সেটাও বলা হয়।