এমপিওভুক্তি দাবিতে সেকায়েপ শিক্ষকদের মানববন্ধন (ভিডিও) - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্তি দাবিতে সেকায়েপ শিক্ষকদের মানববন্ধন (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাক্সেস এনহ্যান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে শনিবার (১৪ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসিটিদের পরবর্তী প্রকল্পে স্থানান্তর অথবা এমপিওভুক্তির মাধ্যমে স্থায়ীকরণের সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা না হলে আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় মানববন্ধন থেকে।

মানববন্ধনে এসিটিদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমি নিজেও এক সময় শিক্ষক ছিলাম, আন্দোলন করতাম। আমাদের সে আন্দোলনে ন্যায্য ও অন্যায্য অনেক দাবি থাকত। এসিটিদের দাবি ন্যায্য উল্লেখ করে হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়েদের ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞানভীতি দূর হয়েছে এসিটিদের কারণে। তাদের কারণে কোচিং বাণিজ্যও বন্ধ হয়েছে। তাই এসব শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে। তাদের জিও দিয়ে সত্যিকারের শিক্ষকের মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ বলেন, দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষকদের ব্যাপারে চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হয়নি। অথচ আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১০ লাখ শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করা বিনা বেতনে নিজ খরচে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যাপারে জিও জারি না হলে অবস্থান কর্মসূচি, প্রতীকী অনশন এবং আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো। আমরা আশা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বয়স ও অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন বলেন, শিক্ষকরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১০ লাখ শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে গত ৭ মাস বিনা বেতনে নিজ খরচে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এসব শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া রোধ করতে এসে এক ঝাঁক তরুণ মেধাবীর ঝরে যাওয়ার আশঙ্কায় আছি। প্রকল্প প্রধান ও মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ক্লাস চালিয়ে যান, ভালো খবর আসবে। কিন্তু বিগত ৭ মাসেও ভাল খবর আসেনি। অনেক শিক্ষকের পরিবারের সদস্য অসুস্থ। টাকার অভাবে তাদের সামান্যতম চিকিৎসা দিতে পারছে না।

মামুন হোসেন বলেন, ম্যানুয়াল বইয়ে উল্লেখ আছে সকল এসিটিদের প্রকল্প শেষে পরবর্তী প্রকল্পে অথবা এমপিওভুক্তির মাধ্যমে স্থায়ীকরণ করা হবে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা উল্লেখ ছিল। যার প্রতিফলন সেকায়েপ এসিটিদের ক্ষেত্রে এখনো ঘটেনি। 

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক চাপাইনবাবগঞ্জের ফিরোজ আহমেদ,ঝালকাঠির মোস্তাক আহমেদ শামিম, ফেনীর ফাতেমা খাতুন, গোপালগঞ্জের রইজ উদ্দিন, ফরিদপুরের শহিদুল ইসলাম,বরিশালের এখলাছ মাহমুদ সিজান, পটুয়াখালীর নাসির উদ্দিন,,মাদারীপুরের মজিবুর রহমান,রাজবাড়ির ইফতি রহমান প্রমুখ।

মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে সেকায়েপ প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার চারশ ৮০ কোটি টাকা। দুর্গম ৬৪টি উপজেলার দুই হাজার ১১টি স্কুলে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00494384765625