২রা মে শুরু হয়েছে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে আবেদন। আজ ৪ মে আবেদনের শেষদিন। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই কোড না পাওয়া থেকে ভোগান্তির শুরু। নতুন পদ্ধতিতে এবার কোড নম্বর দেয়া হলেও তা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ বা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানায়নি ইএমআইএস সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অথচ মন্ত্রণালয় আদেশ দিয়েছে পাঁচদিন আগে। কোড না পেয়ে শিক্ষকদের প্রথম দিনের সিংহভাগ কেটেছে জটিলতায়। ২ মে বিকেলে দৈনিক শিক্ষায় প্রতিবেদনে তারা জানতে পেরেছেন কোড পাওয়ার বিষয়টি। এরপর থেকে আজ ৪ মে সকাল দশটা পর্যন্ত শিক্ষকদের অনেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারলেও এমপিওর আবেদন করতে পারেননি। সার্ভার ও ওয়েবসাইটে জটিলতার কারণে। এছাড়াও শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন ইএমআইএস সেলের আসাদুজ্জামান ও জহির । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা তাদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন দৈনিক শিক্ষাকে। জরুরি দরকারে দেয়া আছে কয়েকজনের নাম। এদের মধ্যে আসাদুজ্জামান একজন। তিনি একাধিক শিক্ষককে বলেছেন, ‘আজই কেন করতে হবে। আপনারা সবাই কেন একসাথে আবেদন করতে চান। কেয়ামত পর্যন্ত করতে পারবেন। এত অস্থির কেন হন?
সারাদেশ থেকে পাওয়া ভোগান্তির তথ্য এখানে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে:
আজ ৪ মে দুপুর ১টা বেজে পচিঁশ মিনিটে রাঙামাটি থেকে শিক্ষক জামাল আহমেদ বলেন, ‘সার্ভার জটিলতায় আমরা কেউ আবেদন করতে পারছি না।’
কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলার রাধাবল্লভ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও আবেদন করতে পারেননি। তারা ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে দৈনিক শিক্ষাকে টেলিফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক অনিল কুমার চক্রবর্ত্তী ৪ মে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘ প্রতিটি এমপিওর আবেদনে ছয়টা ধাপ থাকে। তার মধ্যে প্রথম ধাপের পুরো এবং দ্বিতীয় ধাপের ৮ভাগ শেষ হয়েছে। আমার স্কুল থেকে মোট তিনজনের করতে হবে। প্রথমজনেরই এই অবস্থা।’
তিনি বলেন, নবাবগঞ্জের মোট স্তর পরিবর্তন ছয়টি ও নতুন এমপিও একটি। সবাই সমস্যায় রয়েছেন। পাশের দোহার উপজেলায় স্তর পরিবর্তন একটি স্কুলের। তারাও সমস্যায় রয়েছেন।
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরের মালতী বাড়ি দিগর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে জানান, “সার্ভার ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম অচল। তাহলে সরকারের ঘোষণা মোতাবেক নতুন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অনলাইনে বেতন প্রেরণ সম্ভব হচ্ছে না। এই স্বল্প সময়ে সরকার কেন ঘোষণা দিয়ে হয়রানি বৃদ্ধি করলো? ৩ মে সারারাত জেগে আমার এমপিওভুক্ত ফাইলো পাঠাতে পারি নাই কুড়িগ্রাম জেলা থেকে। দয়া করে সার্ভার শক্তিশালী ও সময় বৃদ্ধি করুন না হলে আমরা নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক না খেয়ে মারা যাব এই মহামারী করোনার সময়।’
যশোরের চৌগাছা উপজেলার ৪টি স্কুল, ২টি মাদরাসা ও একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের একই সমস্যা।