এমপিওর দাবিতে সুপারিশপ্রাপ্ত ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের মানববন্ধন - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওর দাবিতে সুপারিশপ্রাপ্ত ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের মানববন্ধন

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জন শিক্ষক। এমপিওভুক্তিতে অহেতুক দেরি করাকে শিক্ষা প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার হিসেবে অভিহিত করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। 

শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ পেয়ে ইতোমধ্যে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ৭১ জন এবং ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ৩৪ জন তৃতীয় শিক্ষককে এমপিও দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৯২ জন বাদ পড়ে যায়। এই বিষয়ে বারবার মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ কোনও সাড়া মেলেনি।

কসবার প্রভাষক সুলতান মাহমুদ জানান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, অতিরিক্ত সচিব আ ন ম আল ফিরোজ, উপ সচিব জনাব মো মিজানুর রহমানের সাঙ্গে অনেক বার দেখা করেও কোন ফল আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে রাজপথে মানববন্ধন করছি।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন,  এদিকে কতিপয় দালাল চেষ্টা করছেন ভুক্তভোগীদের আদালতে নিয়ে যেতে। এতে বিষয়টি আরো ঝুলে যেতে পারে। অতীতে দেখা গেছে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে রিট করার পর আদালত একটা রুল জারি করে। আইনজীবীরা বোঝান যে আদালতের রায় হয়ে গেছে। বাস্তবে রুল ও রায়ের মধ্যকার ফারাক বোঝার মতো মানুষের সংখ্যা কম। অপরদিকে ওই রুলের জবাব দিতে প্রচুর সময় ব্যয় করে শিক্ষা প্রশাসন। আর এই ফাঁকে শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে গেলেই তারা বলেন বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন তাই কোনো কথা বলা যাবে না। আপনারা তো আদালতে গেছেন। 

জানা যায়, বেসরকারি কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্স খোলার শর্ত হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নীতিমালায় বলেছে স্নাতক (পাস) কোর্স চালুর জন্য বিষয়ভিত্তিক তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। অন্যান্য শর্তের পাশাপাশি নিয়ম মেনে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দিলেই ডিগ্রি (পাস) কোর্স চালুর অনুমতি দেয় ও নবায়নের ক্ষেত্রেও নিয়ম কঠোরভাবে মানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি কলেজের জন্য বিষয়ভিত্তিক দুইজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেন। বহু বছর ধরে এই দ্বৈত প্রশাসন চলে আসছে। ফলে ভোগান্তী পোহাতে হয় শিক্ষকদের। 

ইউএনওর স্ত্রীর অধিকার চান শিক্ষিকা - dainik shiksha ইউএনওর স্ত্রীর অধিকার চান শিক্ষিকা শিক্ষকরা দেরিতে কলেজে এলে বেতন কাটা - dainik shiksha শিক্ষকরা দেরিতে কলেজে এলে বেতন কাটা যৌন হয়রানির দায়ে ঢাবি শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত - dainik shiksha যৌন হয়রানির দায়ে ঢাবি শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত তিনদিনের ছুটিতে রাজধানীর সড়ক ফাঁকা - dainik shiksha তিনদিনের ছুটিতে রাজধানীর সড়ক ফাঁকা রাবিতে হলে থাকা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট ছাড়ার নির্দেশ - dainik shiksha রাবিতে হলে থাকা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট ছাড়ার নির্দেশ প্রস্তুত হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার, হবে স্মার্ট বাংলাদেশ - dainik shiksha প্রস্তুত হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার, হবে স্মার্ট বাংলাদেশ যৌন হয়রানির দায়ে ঢাবি শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত - dainik shiksha যৌন হয়রানির দায়ে ঢাবি শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা, চার ধরনেই কার্যকর - dainik shiksha দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা, চার ধরনেই কার্যকর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004133939743042