মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বরিশাল অফিসে এমপিও সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত প্রোগ্রামার সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে এমপিও সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাইফুর রহমানের পদায়ন বরিশালে হলেও কর্মস্থলে না গিয়ে তিনি শিক্ষা ভবনে এমপিও’র তদবির করেন। তিনি ছাত্র শিবিরের রাজনতির সাথে সম্পৃক্ত বলেও অভিযোগ অনেকের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মো. মোফাখখারুল ইসলামকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আদেশে জানা যায়, প্রোগ্রামার সাইফুর রহমান সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) এর আঞ্চলিক কার্যালয় বরিশাল অঞ্চলের আওতায় প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ পান। পরে মাধ্যমিক শিক্ষাখাত উন্নয়ন প্রকল্প (এসইএসডিপি) এর আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলে প্রোগ্রামার হিসেবে কর্মরত হন।
এসময় তিনি চাকরি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন পর্যন্ত এসইএসডিপি’তে এমপিও সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তখন এমপি সফটওয়্যার এ কাজ করার জন্য তাকে একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার পাসওয়ার্ড ও ইউজার আইডি ব্যবহার করে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এক বছরের মধ্যে কোন কোন শিক্ষককে অবৈধ সুবিধা প্রদান করেছেন খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিকে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কর্মরত একজনের বাড়ীর কাছের লোক এই সাইফুর। তার বিরুদ্ধে সেসিপের মোর্শেদুল হাসান তদন্ত করে দুর্নীতির প্রমাণ পান। মাউশির মহাপরিচালক গত এপ্রিল মাসে সাইফুরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু নতুন করে তদন্ত কমিটির ভাগ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্টদের মনে।
ইএমআইএস সেল থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ভুয়া এমপিওভুক্তি হয়েছে গত বিশ বছরে। সাইফুর প্রায় ১০ বছর যাবত কর্মরত ছিলেন ইএমআইএস সেলে।
বর্তমানে তিনি বরিশাল উপ-পরিচালকের দপ্তরে এমপিওর কাজ করেন।
শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. এলিয়াছ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, “সফটওয়ারের মাধ্যমে এমপিওভুক্তি হয়। এখানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই।”