এসএসসির প্রবেশপত্র না পেয়ে সড়ক অবরোধ - দৈনিকশিক্ষা

এসএসসির প্রবেশপত্র না পেয়ে সড়ক অবরোধ

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি |

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এলাকাবাসীও বিক্ষেভে যোগ দেয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চরভদ্রাসন-ফরিদপুর ভায়া জাকেরের সুরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জালিয়ে অবরোধ করা হয়। এ সময় তারা অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিচারসহ পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।

প্রবেশপত্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ | ছবি : চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

বিদ্যালয়ের সভাপতি কে এম ওবায়দুল বারী দিপু খান বলেন, এ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ৪৪ জন শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। আজ সকালে ৩৬ জন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র হাতে পেলেও আট জনের প্রবেশপত্র দিতে পারেনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানা।

প্রবেশপত্র না পাওয়া আট জন শিক্ষার্থী হলো সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামের আকাশ প্রামানিক, আল ফাহাদ বেপারী, হারিরামপুর ইউনিয়নের আরজখার ডাঙ্গী গ্রামের রিমন ফকির, হাসান ফকির, দবিরুদ্দীন প্রামানিক ডাঙ্গী গ্রামের নাফিজা আক্তার, সাদিয়া আক্তার ও চরশালেপুর গ্রামের ঋতুপর্ণা।

দিপু বলেন, ওই দুই শিক্ষক তাদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে এতদিন ভুল বুঝিয়ে রেখেছিল। এমনকি শিক্ষক সোহেল তাদের জাল রেজিস্ট্রেশন কার্ডও দিয়েছেন। কিন্তু বোর্ডে চেক করে তাদের কোনো তথ্য না পাওয়ায় প্রবেশপত্র দেয়নি বোর্ড কর্তৃপক্ষ। 

মুন্নাফ ফকির নামে এক অভিভাবক ওই দুই শিক্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করে তার ছেলে রিমনসহ অন্যদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। শিক্ষদের প্রতারণার ফাঁদে পরে আজ আটটি জীবন ধ্বংসের মুখে।

তিনি আরও বলেন, মানসিকভাবে প্রত্যেকেই ভেঙ্গে পড়েছে। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তার দায় কে নেবে?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দুই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাকি ছয়জনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তারা যাতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। তবে যারা এ জালিয়াতি ও প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ওই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক টাকা জমা দেয়ার ভুয়া রশিদ দেখিয়ে ৪৪ শিক্ষার্থীর টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর টাকা জমা দেয়া হলেও নির্দিষ্ট সময়ে প্রবেশপত্র না পেয়ে বিপাকে পরে পরীক্ষার্থীরা।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070691108703613