চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস (খুদেবার্তা) পাঠিয়ে প্রকাশ করার চিন্তা করা হচ্ছে। এটা কোনও সিদ্ধান্ত নয়। একেবারেই চিন্তার পর্যায়ে। এই করোনার মহামারির মধ্যে চিঠি দিয়ে সব অভিভাবকের মোবাইল নম্বর জোগাড় করা এই সময়ের মধ্যে সম্ভব হবে কি-না তাও দেখার বিষয়। যাহোক যদি সম্ভব হয় তাহলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক, কাউকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার প্রয়োজন পড়বে না। ফল প্রকাশের নানা আনুষ্ঠানিকতা ও আড়ম্বর থাকবে না এবার। কয়েক বছর ধরে 'পেপারলেস' ফল প্রকাশ করে আসছে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলো। এবার করোনোভাইরাসের সংক্রমণের কারণে পুরোপুরি ডিজিটালি ফল প্রকাশের দিকে এগোচ্ছে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলো। এতে ফল যাবে মুঠোফোনে, একইসঙ্গে তা প্রকাশ হবে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে।
এরই মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের বোর্ডের সব এসএসসি পরীক্ষার্থীর (অথবা অভিভাবক) মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছে। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডও শিগগির তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মুঠোফোন নম্বর চেয়ে চিঠি দিতে পারে।
জছুটি শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিতে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সভায় আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যানদের বৈঠক হয়েছে। এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।’
এই বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমে সময় কমিয়ে দেড় মাসের বদলে এক মাসের মধ্যে শেষ করতে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসব্যাপী বন্ধের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এমন প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোকবুল হোসেন বলেন, 'ফল প্রকাশের সম্ভাব্য সময়সীমা ঠিক করেছিলাম। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি ছুটি বাড়ানোয় সব এলোমেলো হয়ে গেল। এখন আমাদের ফল প্রকাশের প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'