মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পরীক্ষার সময়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সিংগাইর সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে কেন্দ্র পরিদর্শক (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া তাকে কান ধরতে বাধ্য করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী তাছলিমা খানম উপজেলার ধল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী এসএসসি পরীক্ষার্থী তাছলিমা খানম বলেন, ‘গতকাল উচ্চতর গণিত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে পাশের এক পরীক্ষার্থী একটি প্রশ্ন না বুঝতে পারায় আমাকে জিজ্ঞেস করে। তার কথা না শুনে আমি লিখছিলাম। এ সময় কেন্দ্র পরিদর্শক (ট্যাগ অফিসার) রাসেল স্যার আমার খাতা নিয়ে যান। অনুনয়-বিনয় করলেও খাতা না দিয়ে তিনি কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন। অন্যথায় বহিষ্কারের হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকি। পরে কক্ষ পরিদর্শক সৈকত ও লোকমান স্যারের অনুরোধে সাত মিনিট পর আমাকে খাতা দেয়া হয়। এ কারণে ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও পরীক্ষা ভালো হয়নি।’
কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শক মো. সৈকত মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাশের পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলার অভিযোগে তাছলিমা খানমকে ট্যাগ অফিসার মো. রাসেল কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন। এতে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে পাঁচ-সাত মিনিট পর তাকে খাতা দেয়া হয়।
সিংগাইর সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু হয়ে থাকলে কক্ষ পরিদর্শক বলতে পারবেন।
ধল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম জানান, তাছলিমা খানম ভালো স্টুডেন্ট। তার সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কোনো পরীক্ষার্থীকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার বিধান নেই। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লাকে জানানো হয়েছে।