খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুল ইসলাম স্যারকে ধন্যবাদ মেধা মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্কুলে আমার ছেলের লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তাঁর নীতি ও আদর্শের কাছে আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। আমি আমার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশান্বিত। আমার ছেলেও দারুণ উৎসাহিত। খুলনার তিনটি নামকরা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তির জন্য প্রতি আসনে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অতিক্রম করে আসন দখল করতে হয়। আমার ছেলে তিনটি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোন স্কুলে পরীক্ষা বেশি ভালো হয়েছে। সে জানাল, জিলা স্কুলে। অবশ্য ফলাফল জানতে কোনো স্কুলে আমি যাইনি। জিলা স্কুল ছাড়া অন্য দুটি স্কুলে সে চান্স পেল। ভাবলাম, যেখানে পরীক্ষা বেশি ভালো হয়েছে সেখানে চান্স নয় কেন? এটা নিঃসন্দেহে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণ।
স্কুল দুটি ব্যয়বহুল হওয়ায় তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করি। এক সপ্তাহ পর জিলা স্কুল থেকে ফোন এলো, ‘আপনি সিফাত মোড়লের কী হন? তাকে ভর্তি করতে চাইলে আজই ফরম পূরণ করতে হবে। কারণ আজ শেষ তারিখ। ’ শুনেছি, এমন ফোন পেয়েছেন অনেক অভিভাবক। এটাই মেধা মূল্যায়ন। এভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হলে দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছবে, খুব সত্বর।
সহিদুল মোড়ল
নলিয়ান, দাকোপ, খুলনা।