ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব নাগরিক : ফাউচি | বিবিধ নিউজ

ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব নাগরিক : ফাউচি

করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রের 'প্রায় সব নাগরিককে আক্রান্ত করবে' বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি। অ্যান্টনি ফাউচি বলেছেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এই নতুন ধরনে দেশের প্রায় সব নাগরিক আক্রান্ত হব

করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রের 'প্রায় সব নাগরিককে আক্রান্ত করবে' বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি।

অ্যান্টনি ফাউচি বলেছেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এই নতুন ধরনে দেশের প্রায় সব নাগরিক আক্রান্ত হবে, তবে করোনার টিকা গ্রহণকারীরা নতুন এই ধরনের সংক্রমণ থেকে কিছুটা সুরক্ষিত থাকবে। মঙ্গলবার ফাউচি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, যারা করোনার টিকার দুই ডোজ এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন তারা কিছুটা সুরক্ষিত থাকবেন। তবে তাদের অধিকাংশেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা একটি নির্দিষ্ট অবস্থায় থাকবে, কারণ ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার এবং মৃত্যুর হার অনেক কম। তবে, যারা করোনার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেনি তারা নতুন এই ধরনে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফাউসি।

যুক্তারাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করেননি। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬২ শতাংশেরও বেশি মানুষ করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। তবে মাত্র ৩২ শতাংশ মানুষ পূর্ণ ডোজ এবং বোস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার দেশটির খাদ্য এবং ঔষধ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ডা. জ্যানেট উডকক বলেছিলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ করোনার এই নতুন ধরনে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য দেশের হাসপাতালগুলো প্রস্তুতের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে, ওয়ার্ল্ডমিটারের তথ্যানুযায়ী সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ৪০ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৬ জনে। আর বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ লাখ ২১ হাজার ৩১ জনের। এছাড়া বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৯ জনে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।