কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কথিত তাছের পীরের দরবার শরীফ থেকে ২টি হরিণ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে একজন আটক হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কল্যাণপুরের ওই পীরের দরবার শরীফ থেকে হরিণ দু’টি উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় শের খান নামে দরবার শরীফের কথিত পীর তাছের ফকিরের শ্যালককে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনসহ বন বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কল্যাণপুর দরবার শরীফে অভিযান চালানো হয়। এঘটনায় দরবার শরীফের পীর তাছের ফকির সহ দু’জনের নামে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।
বন বিভাগের কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, কল্যাণপুর দরবার শরীফের ভেতরে অবৈধভাবে ২টি হরিণ আটক করে রাখা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় দরবার শরীফের ভেতর থেকে হরিণ দু’টি উদ্ধার করা হয় এবং আটক করা হয় শের খানকে। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১৭ ধারায় কল্যাণপুর দরবার শরীফের পীর তাছের ফকির সহ দু’জনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় শের খান গ্রেফতার হলেও পলাতক দেখানো হয়েছে দরবারের কথিত পীর তাছের ফকিরকে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তাছের পীরের দরবার শরীফ থেকে দু’টি হরিণ উদ্ধার করে বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কল্যাণপুর দরবার শরীফের মধ্যে হরিণ আছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দু’টি হরিণ উদ্ধার করা হয়।
গত রোববার দুপুরে মোবাইল চুরির অভিযোগে কল্যানপুরে কথিত পীর তাছের ফকিরের ওই দরবার শরীফের ভেতরে রাশেদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের হরিণগাছী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পরে ৬ আসামি গ্রেফতার হলেও অজ্ঞাত কারণে মামলার অন্যতম হুকুমদাতা প্রধান আসামী কল্যাণপুর দরবার শরীফের কথিত পীর তাছের ফকিরসহ এজাহার নামীয় অপর আসামী সুজন, সালাম ও কালাম গ্রেফতার হয়নি।