কবর থেকে উঠে এসে নিয়োগ বোর্ডে স্বাক্ষর করলেন অধ্যক্ষ! - দৈনিকশিক্ষা

কবর থেকে উঠে এসে নিয়োগ বোর্ডে স্বাক্ষর করলেন অধ্যক্ষ!

দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ : কবর থেকে উঠে এসে নিয়োগ বোর্ডের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করলেন নওগাঁর বদলগাছীর গয়ড়া তেতুলিয়া ডি এ ফাজিল মাদরাসা অধ্যক্ষ মো. আবদুল রশিদ। এছাড়াও নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিন পদে নিয়োগ দেয়ার অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন দাউদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার সেকেন্দার আলী ও তৎকালীন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। তারা কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার নিয়োগ দেখান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা কর্মী, আয়া, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগারসহ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে উপরের তিনটি পদ শূন্য হলেও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আসাদুজ্জামান নামের একজন কর্মরত আছেন। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৮ মার্চ তারিখ দেখিয়ে নিয়োগের কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই কাগজপত্রে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী গয়ড়া তেতুলিয়া ডি এ ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুল রশিদ সেই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসাবে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু তিনি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এরপর ওই বছরের মে মাসের ৫ তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন আ.ন.ম. লুৎফর রহমান। 

মাদরাসার রেজুলেশন ও নিয়োগ বোর্ডের ফলাফল সিটে আবদুল রশিদ ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান ও ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোবারুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। সেই নিয়োগ বোর্ডের সম্পর্কে ওই কর্মকর্তাগণ কিছুই জানেন না বা কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেননি। অথচ নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে দেখা যায়, নিরাপত্তা কর্মী পদে উপজেলার দাউদপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. ইসাহাক আলী, আয়া পদে দাউদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে মোছা. শারমিন সুলতানা ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ পেয়েছেন মাধবপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু মুস্তাকিম। যারা এখন পর্যন্ত মাদরাসায় কোনো দিন যাননি বা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেননি। এরমধ্যে আয়া পদে শারমিন সুলতানার বেতনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন মাদরাসার সুপার। 
এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান বলেন, আমি ওই উপজেলায় থাকতে এই পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে গতবছর তারা আমার কাছে এসেছিলো ব্যাকডেটে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য। আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। এর বেশি আর কিছু জানি না।

এ বিষয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ আবু মুস্তাকিম বলেন, আমি কোনো নিয়োগ বোর্ডে বসিনি। আমার কাছে টাকা আর কাগজপত্র চেয়েছিলো, সেগুলো আমি দিয়েছিলাম। আমি শুধু যোগদান পত্রে স্বাক্ষর করেছি। সেই যোগদানপত্র সুপার আমাকে বানিয়ে দেন। 

এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার মো. সেকেন্দার আলী বলেন, আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। কে বা কারা তা করেছে সেটা আমি জানি না। তবে এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি।

বর্তমান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ দিলে বা আমার উর্ধতন কেউ নির্দেশ দিলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয়টি আমি জানি না। খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিস চলবে ৯টা-৩টা - dainik shiksha রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিস চলবে ৯টা-৩টা দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড - dainik shiksha এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল তিন সমন্বয়ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে ডেকে নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - dainik shiksha তিন সমন্বয়ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে ডেকে নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031440258026123