বেনাপোল পোর্টে আটকে আছে শ'খানেক কাশ্মীরি শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালে ভারতে ঢুকতে চেয়েও পারেননি এই শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এই শিক্ষার্থী দলের পাসপোর্ট ও ভিসা যাচাই করে তাদের ছেড়ে দেয়ার পর স্থল বন্দরের ভারত অংশে অর্থাৎ পেট্রাপোলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ শিক্ষার্থী আছে, তারা সবাই এখন বন্দরের বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করছে। তারা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করেন।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এরা ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশালে নানা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন।
বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে ১৬ই মার্চ।
ভারতে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১৩ই মার্চ রাতে।
কিন্তু এই সময়ে ভারতে ভারতের নাগরিকরা যাতায়াত করতে পেরেছে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন কবির তরফদার কথা বলেন বিবিসি বাংলার সাথে, তিনি বলেন, "ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশে ঢুকেছে বেরও হচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিক এবং বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকা বন্ধ ১৩ই মার্চ থেকে।"
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ ঘোষণা করেছে লকডাউন।
মি. মামুন বলেন, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের বেনাপোলে ভীড় বেড়েছে।
প্রচুর ভারতীয় গতকাল ভারতে ঢুকেছে। কিন্তু বিপত্তি হয়েছে আজ সকালে।
"কাশ্মীরের এই ছাত্রের দল হয় জানতো না নতুবা দেরি করে ফেলেছে। এখন আমরা ভারতের ফরেন মিনিস্ট্রির সাথে যোগাযোগ করছি।"
সকালে যখন কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের ভারতের ইমিগ্রেশন ফিরিয়ে দেয় তখনই ভারত অংশের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মি. মামুন।
তিনি বলছেন, "তারা তো বলছে ভারতের সিদ্ধান্ত পেট্রাপোল এখন কাউকে নিতে পারবে না। আর কেউ বের হলেও তাকেও নেবে না। একেবারে লকডাউন।"
কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা বেনাপোলের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলছে তারা কাল জানতে পেরেছে এবং তারা এম্বাসির সাথে কথা বলে এসেছে।
"সবার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট, লিগাল ভিসা, আমরা এখন কী করবো জানিনা।"