করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি চীনফেরত লালমনিরহাটের শিক্ষার্থীর নমুনা সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
মঙ্গলবার করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ কিংবা উপসর্গ নেই। তবুও সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে তার শ্বাসতন্ত্রের কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় আনা হয়। এর আগে রোববার রাতে চীন থেকে ওই শিক্ষার্থী ঢাকায় ফেরেন। বিমানবন্দরে পরীক্ষার-নিরীক্ষার পর তাকে ইমিগ্রেশন পার হতে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীর পারিবারিক সূত্র বলছে, বাসে করে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথেই তার শরীর ব্যথা ও বমি শুরু হয়। এরপর বাড়ি না নিয়ে তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।
অবস্থার অবনতি ঘটলে সোমবার তাকে ঢাকায় স্থানান্তর .করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে জানিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, তার বেশি সমস্যা হচ্ছে দুটি পায়ে। ব্যথার কারণে হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছিল। আগের তুলনায় এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : স্ক্রিনিংয়ে সুরক্ষা সম্ভব, অভিমত বিশেষজ্ঞদের
এছাড়া চীন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ৩১২ জনের শারীরিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, চীন থেকে ফিরিয়ে এনে আশকোনো হজক্যাম্পে যে ৩০১ জনকে রাখা হয়েছিল, তারা সবাই সুস্থ আছেন। এ ছাড়া ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জনও সুস্থ আছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর সরকার তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ মিশন এ বিষয়ে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।